প্রস্তুতি ম্যাচ রান পেলেন প্রায় সবাই, চারশো ছাড়িয়ে বাংলাদেশ
পুরো ওয়ানডে সিরিজে ভুগেছিল টপ অর্ডার। টেস্টে আগে প্রস্তুতি ম্যাচে নেমে সেই টপ অর্ডার দিল দারুণ শুরু, মিডল অর্ডারে মিলল আস্থার ছবি। এমনকি লোয়ার মিডল অর্ডার থেকেও এল রান। সব মিলিয়ে সাদা পোশাকে ব্যাটসম্যানদের প্রস্তুতিটা হয়েছে দারুণ।
শনিবার লিঙ্কনে একমাত্র দুদিনের প্রস্তুতি ম্যাচে আগে ব্যাট করে ৬ উইকেটে ৪১১ রান করে বাংলাদেশ। ৬ উইকেট পড়লেও ব্যাট করেছেন এগারোজন ব্যাটসম্যানই। যারাই রান পেয়েছেন অন্যদের খেলার সুযোগ দিয়ে স্বেচ্ছায় অবসর নিয়েছেন।
দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৬৭ রান করেন ওপেনার সাদমান ইসলাম, লিটন দাসের ব্যাট থেকে আসে ৬২ রান। ফিফটি পেরিয়ে মাহমুদউল্লাহ (৫৯) ও মিরাজও (৫১)। ফিফটির কাছে গিয়ে আউট হন তামিম ইকবাল (৪৫)। সৌম্য সরকার ৪১ করে স্বেচ্ছায় মাঠ ছাড়েন।
চোট থাকায় এই ম্যাচ খেলেননি মুশফিকুর রহিম ও মোহাম্মদ মিঠুন। সাকিব আল হাসান না থাকায় ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কত্ব পাওয়া মাহমুদউল্লাহ টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। দুই ওপেনার সাদমান ও তামিম দলকে পাইয়ে দেন দারুণ শুরু।
৩১ ওভার স্থায়ী ওপেনিং জুটিতে তারা তুলেন ১১৩ রান। ৮৩ বলে ৪৫ করা তামিম ক্যাচ তুলে দিলে ভাঙে সে জুটি। সবার রান পাওয়ার দিনে অবশ্য ব্যতিক্রম ছিলেন একজন। ওয়ানডাউনে নেমে ৩০ বলে ২০ রান করে দ্রুত বিদায় নেন মুমিনুল হক। তার আগে ১১৩ বলে ৯ চারে সাদমানের ৬৭ রানের ইনিংস থেমে যায়।
মিডল অর্ডারের পরের চারজনই আউট হননি। তবে জুতসই রান পেয়ে ব্যাটিং অনুশীলন হয়ে যাওয়ায় তাদের উঠিয়ে নেওয়া হয়। মাহমুদউল্লাহ রান করেছেন ওয়ানডে মেজাজে। ৬০ বলে ৫৯ করেন ৮ চার আর ১ ছক্কায়।
সৌম্য সময় নিয়েই খেলছেন, ৭৫ বল খেলে মাঠ ছাড়ার আগে ৬ চারে করেন ৪১। সাদা পোশাকের মেজাজ বুঝে ব্যাট চালিয়েছেন লিটনও। ৯১ বলে ৬২ করে একদম শেষ দিকে স্বেচ্ছা অবসরে যান তিনি।
তার আগে ৬৭ বলে ৫১ করে অবসর নেন মিরাজ।
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৯৬.১ ওভারে ৪১১/৬ (তামিম ৪৫, সাদমান ৬৭, মুমিনুল ২০, লিটন ৬২ অবসর, সৌম্য ৪১ অবসর, মাহমুদউল্লাহ ৫৯ অবসর, মিরাজ ৫১ অবসর, তাইজুল ১৪, নাঈম ১২, জায়েদ ২৩, খালেদ ০* ; মিলনে ০/১৮, নুটাল ১/৬০, সিয়ার্স ১/৭৭, লুকরোজ ১/১০৪, কুবর্ন ২/৯২, ফিলিপস ০/১৯, ভুলা ১/৩১)
Comments