এক পাশে দুর্দান্ত তামিম, আরেক পাশে মলিন বাকি সবাই
সবুজ গালিচায় নেমে তেড়েফুঁড়ে ব্যাট চালিয়ে দারুণ সেঞ্চুরি তুলেছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু আরেক প্রান্তেই কেউই দেখাতে পারলেন না টিকে থাকার নিবেদন। প্রথম সেশনের দারুণ শুরুর পরও বাংলাদেশ ব্যাট করতে পারেনি ৬০ ওভারও, করতে পারেনি আড়াইশো রান।
হ্যামিল্টনে প্রথম টেস্টে চা-বিরতির পরই ২৩৪ রানে অলআউট হয়ে গেছে বাংলাদেশ। ২৩৪ রানের মধ্যে ১২৮ রান একাই তামিম ইকবালের। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ লিটন দাস করেন ২৯ রান।
বাংলাদেশকে ধসিয়ে দিতে তোপ দাগিয়েছিলেন নিল ওয়েগনার। শর্ট বলের পসরায় মাহমুদউল্লাহদের কাবু করে ৪৭ রানে নিয়েছেন ৫ উইকেট।
অথচ টস হারলেও সবুজ ঘাসে ভরা উইকেট দিচ্ছিল অন্য কিছুর ইঙ্গিত। বল ব্যাটে আসছিল দারুণভাবে। শর্ট বল সামলে টিকে থাকতে পারলে এই উইকেটে ছিল রানে ভরপুর।
উদ্বোধনী জুটিতে সাদমান ইসলামকে নিয়ে ৫৬ রানের জুটি গড়ে তামিমই দেন ভালো কিছুর ইঙ্গিত। সাদমান ফেরার পর মুমিনুল হককে পাশে নিয়েও জারি রেখেছিলেন দাপট। সেই দাপটে টিম সাউদি, ট্রেন্ট বোল্টরা পাত্তা পাননি। ৩৭ বলে ফিফটির পর ১০০ বলে ক্যারিয়ারের নবম সেঞ্চুরিতে পৌঁছান তামিম। কিন্তু চোখ ধাঁধানো এক ইনিংস খেলে তামিমের বিদায়ও হয়েছে বাজে শটে। কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমকে দুবার ক্যাচ দিয়ে বেঁচেছিলেন কিন্তু তৃতীয় বারের আর হয়নি। অনেক বাইরের শর্ট ডেলিভারিতে তামিম ক্যাচ দেন গালিতে।
তার আগে লাঞ্চ থেকে ফিরেই অদ্ভুত বাজে শটে ইনিংসের ইতি টানেন মোহাম্মদ মিঠুন। ওয়ানডেতে ভালো খেলা এই ব্যাটসম্যান টেস্টে তার পজিশনকে প্রশ্নবিদ্ধ করে শর্ট বলে ক্যাচ উঠান মিডউইকেটে। করেন মাত্র ৮ রান।
সৌম্য সরকার অবশ্য নিজেকে সামলেই খেলতে চেয়েছিলেন। টিম সাউদির বেরিয়ে যাওয়া বল ছেড়ে দিচ্ছিলেন কিন্তু হালকা স্যুয়িং করে তা ছুঁয়ে যায় তার গ্লাভস।
তামিমের ফেরার পর সব দায়িত্ব নিতে পারতেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু অধিনায়ক ফেরেন সবচেয়ে দায়িত্বহীন শটে। নিল ওয়েগনারকে পুল করতে গিয়ে টপ এজ হয়ে তার ক্যাচ যায় লং লেগে। ওয়গনারকেই ক্যাচ দিয়ে চা-বিরতির ঠিক আগে বিদায় নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।
একমাত্র স্বীকৃত ব্যাটসম্যান হিসেবে শেষ পর্যন্ত ছিলেন লিটন। কিন্তু টেল এন্ডারদের নিয়ে লড়াই লম্বা করতে পারেননি তিনি। শেষ ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হন ২৯ রান করে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
বাংলাদেশ প্রথম ইনিংস: ৫৯.২ ওভারে ২৩৪ (তামিম ১২৬, সাদমান ২৪, মুমিনুল ১২, মিঠুন ৮, সৌম্য ১, মাহমুদউল্লাহ ২২, লিটন ২৯ মিরাজ ১০, জায়েদ ২, খালেদ ০, ইবাদত ০* ; বোল্ট ১/৬২, সাউদি ৩/৭৬, ডি গ্র্যান্ডহোম ১/৩৯, ওয়েগনার ৫/৪৭, অ্যাস্টল ০/১০)।
Comments