ক্লাসিকোতে হারের পর রিয়ালের চারটি বিব্রতকর রেকর্ড
কদিন আগেই কোপা দেল রেতে বার্সেলোনার কাছে পাত্তাই পায়নি রিয়াল মাদ্রিদ। দিন তিনেক পার না হতেই ঘরের মাঠে লা লিগার ম্যাচে আবার বার্সেলোনার কাছে ০-১ গোলের ব্যবধানে হেরে গেছে দলটি। আর এ হারের পর বেশ কিছু বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছে দলটি যা নিঃসন্দেহে পছন্দনীয় নয় রিয়াল সমর্থকদের। তার প্রধান কয়েকটি তুলে ধরা হলো-
রামোসের লজ্জার রেকর্ড
প্রথমার্ধের শেষ দিকে বার্সা অধিনায়ক লিওনেল মেসিকে আঘাত করে এমনিতেই সমালোচনায় বিদ্ধ রিয়াল অধিনায়ক সের্জিও রামোস। তার উপর ম্যাচ শেষে লজ্জার এক রেকর্ড গড়ে ফেললেন তিনি। সবচেয়ে বেশি এল ক্লাসিকোতে হার দেখা খেলোয়াড় এখন রামোস। ৪২টি ক্লাসিকো ম্যাচে অংশ নিয়ে ২০টিতে হার দেখলেন এ স্প্যানিশ ডিফেন্ডার।
২৭ ঘণ্টার ব্যবধানে ২টি হার
গত বুধবারই কোপা দেল রের দ্বিতীয় লেগের ম্যাচে বার্সেলোনার কাছে হার দেখেছে রিয়াল মাদ্রিদ। সে ম্যাচ হারের ধাক্কার ৭২ ঘণ্টা পার না হতেই আরও একটি হার দেখল দলটি। যা দুই দলের ইতিহাসে প্রথমবার। শুধু তাই নয়, ৮৭ বছরের ইতিহাসে প্রথমবার টানা ৪টি লা লিগার এল ক্লাসিকোতে হারে রিয়াল মাদ্রিদ।
বার্নাব্যুকে নিজেদের ঘর বানিয়ে ফেলেছে বার্সেলোনা
অ্যাওয়ে ম্যাচের চেয়ে নিজেদের মাঠে খেলাটা বরাবরই সহজ হয় ফুটবল ক্লাবগুলোর জন্য। নিজেদের সমর্থকদের সামনে ফলাফলও ইতিবাচক হয়। কিন্তু রিয়াল মাদ্রিদের জন্য যেন ব্যাপারটা উল্টো। বার্নাব্যুতে তাদের চেয়ে ভালো খেলে বার্সেলোনাই। ২০১৪ সালে শেষবার নিজেদের মাঠে এল ক্লাসিকোতে জয় পেয়েছিল রিয়াল। নিজেদের মাঠে টানা চারটি ক্লাসিকো হারল তারা। শেষ ছয় ম্যাচের পাঁচটিতেই। আর তাতেই আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমগুলো ফলাও করে বলছে বার্নাব্যুই যেন বার্সেলোনার হোম ভেন্যু।
৮৭ বছর পর বার্সেলোনার এগিয়ে যাওয়া
কোপা দেল রের ম্যাচ দিয়ে ক্লাসিকোর দ্বৈরথটা শুরু হয় ১৯১৬ সাল থেকে। আর লিগে শুরু ১৯২৯ সালে। শুরু থেকেই জয়ের পাল্লা ভারী ছিল রিয়ালেরই। মাঝে ১৯৩২ সালে জয়ে রিয়ালকে টপকে যায় বার্সেলোনা। পরের বছরে আবার এগিয়ে যায় রিয়াল। সেই থেকে একচ্ছত্র ভাবে এগিয়ে ছিল দলটি। তবে লম্বা সময় পর আবার মুখোমুখি লড়াইয়ে এগিয়ে গিয়েছে কাতালান ক্লাবটি। ২৪২টি মুখোমুখি লড়াইয়ে এখন ৯৬টি জয় বার্সার। আর ৯৫টি জিতেছে রিয়াল এবং ড্র হয়েছে ৫১টি।
Comments