ক্রিকেটে যেকোনো কিছুই সম্ভব: তামিম

বল হাতে দারুণ শুরুর পর সকালে পুড়তে হয়েছে বাজে ফিল্ডিংয়ে। রস টেইলরকে দুবার জীবন দেওয়ার পর বোলাররাও ক্রমেই হারিয়ে ফেলেন তাল। ছড়ি ঘুরিয়ে আগ্রাসী ব্যাট করে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে টেইলর তার দলকে দ্রুতই বড় লিড পাইয়ে দেন। মাথার উপর সেই লিডের চাপে শেষ সেশনে টপ অর্ডার খুইয়ে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ। গতি, স্যুয়িং আর বাউন্সের পসরার মধ্যে ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ শেষ দিনে কাটানোর। ভীষণ কঠিন তবু এখনো সতীর্থদের উপর আশা ছাড়ছেন না তামিম ইকবাল।
Tamim Iqbal
ছবি: বিসিবি

বল হাতে দারুণ শুরুর পর সকালে পুড়তে হয়েছে বাজে ফিল্ডিংয়ে। রস টেইলরকে দুবার জীবন দেওয়ার পর বোলাররাও ক্রমেই হারিয়ে ফেলেন তাল। ছড়ি ঘুরিয়ে আগ্রাসী ব্যাট করে ডাবল সেঞ্চুরি তুলে টেইলর তার দলকে দ্রুতই বড় লিড পাইয়ে দেন। মাথার উপর সেই লিডের চাপে শেষ সেশনে টপ অর্ডার খুইয়ে হারের শঙ্কায় বাংলাদেশ। গতি, স্যুয়িং আর বাউন্সের পসরার মধ্যে ৭ উইকেট নিয়ে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ শেষ দিনে কাটানোর। ভীষণ কঠিন তবু এখনো সতীর্থদের উপর আশা ছাড়ছেন না তামিম ইকবাল। 

টেইলরের ডাবল সেঞ্চুরিতে ৬ উইকেটে ৪৩২ রান করে ইনিংস ঘোষণা করে কিউইরা। ২২১ রানে পিছিয়ে থেকে ৫৫ রানে তিন উইকেট হারানো বাংলাদেশ দিনশেষ করেছেন ৩ উইকেটে ৮০ রান নিয়ে। 

টেস্ট সিরিজে টানা তিন ইনিংসে ফিফটির নিচে আউট না হওয়া তামিম এই ইনিংসে ফেরেন ৪ রান করে। ফের ব্যর্থ হন মুমিনুল হক, সাদমান ইসলাম দৃঢ়তা দেখালেও পারেননি ইনিংস টানতে। এই অবস্থায় সৌম্য সরকার আর মোহাম্মদ মিঠুন শুরু করবেন শেষ দিনের খেলা। পরিস্থিতি আভাস দিচ্ছে নেতিবাচক কিছুর। কিন্তু খেলাটা ক্রিকেট বলেই তামিম দেখছেন আশার আলো, 'কঠিন তো অবশ্যই। কিন্তু ক্রিকেটে যেকোন কিছুই সম্ভব। যেহেতু এখনো আমাদের হাতে সাত উইকেট এখনো আছে। রিয়াদ ভাই, লিটন এরা এখনো আছে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হবে প্রথম সেশনটা যদি কোন উইকেট না হারাই বা বড়জোর এক উইকেট হারাই। কঠিন কিন্তু সম্ভব।'

দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান বাদ দিলে ব্যাট করতে বাকি আর কেবল দুই বিশেষজ্ঞ ব্যাটসম্যান (মাহমুদউল্লাহ ও লিটন দাস)। এরপরই টেল এন্ডাররা। তামিম তাই ব্যাটসম্যানদের কাউকে লম্বা সময় ব্যাট করার প্রত্যাশা করছে, 'আশা একটাই- দীর্ঘ সময় ব্যাট করা। আজ যদি একটা উইকেট পড়ত আমাদের তাহলে খুব ভাল অবস্থানে থাকতাম ম্যাচটা ড্র করার জন্য। যেহেতু তিন উইকেট পড়ে গেছে আর লম্বা টেল আমাদের। 

তবে দিনশেষে এই পরিস্থিতি হতো না যদি না মাহমুদউল্লাহ বা সাদমানের কেউ একজন টেইলরকের ক্যাচ নিতে পারতেন। আবু জায়েদ রাহি বলে প্রথমে শর্ট কাভারে টেইলরে জীবন দেন অধিনায়ক নিজেই, ঠিক এক বল পর দ্বিতীয় স্লিপে দামি ক্যাচটি সাদমানের হাত ফসকে বেরিয়ে যায়। টেইলরকে তখন আউট করতে পারলে হয়ত এত দ্রুত বড় লিড নিতে পারত না কিউইরা। এই আক্ষেপই এখন বাংলাদেশের সঙ্গী,  'সবচেয়ে খারাপ ব্যাপার হলো আমরা এমনই একজনের ক্যাচ মিস করেছি একই ওভারে যে দুইশো মেরে দিয়েছে। যদি না হতো, আমরা ওকে আউট করতে পারতাম। এক দুইটা উইকেট তখন নিতে পারলে আজ আমাদের আরও কম সময় ব্যাট করা লাগত। ক্যাচ একটা এমন জিনিস যেকেউ মিস করতে পারে। মিস করাটা খারাপ কিন্তু এটা হয়ে যায়।'

 

Comments