এই ট্রমা 'শীঘ্রই কাটিয়ে উঠবেন' ক্রিকেটাররা
চোখের সামনে হত্যাযজ্ঞ, অল্পের জন্য মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আসা। গেল শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চে সবই দেখেছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। বীভৎস পরিস্থিতিতে কেউ কেউ কেঁদেছেন, কেউ ভয়ে দ্রুত ফিরে আসতে চেয়েছেন দেশে। সাধারণত এই ধরনের পরিস্থিতিতে মনের উপর ভয়ের ছাপ পড়ে প্রচণ্ড। তবে খালেদ মাহমুদ সুজন মনে করছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা দ্রুতই এই ধাক্কা সামলে উঠবেন।
শুক্রবার ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে বন্দুকধারী উগ্রবাদীর হামলায় অন্তত ৪৯ জনের নিহতের ঘটনায় সিরিজ অসমাপ্ত রেখেই দেশের পথে আছে বাংলাদেশ। এরমধ্যে একটি মসজিদে নামাজ পড়তে গিয়েছিলেন বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তারা।
সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবি পরিচালক খালেদ মাহমুদ মনে করছেন ঘটনার আতঙ্ক ক্রিকেটারদের মনে ছাপ রাখলেও এই ধাক্কা সামলে উঠতেও বেশি সময় লাগার কথা নয়, 'আমার মনে হয় ছেলেরা যথেষ্ট পরিণত। সবাই আসলে বড় হয়ে গিয়েছে। আর এটি তো এমন না যে বিশ্বে প্রথম ঘটলো। এমন কিন্তু অহরহ ঘটছে। বাংলাদেশে ঘটেছে। আমরা হোলি আর্টিজানের ঘটনা জানি কতটা নৃশংস হয়েছিলো।'
'আমার মনে হয় অবশ্যই একটা শক তো পেয়েছে ছেলেরা, তবে আমার কাছে মনে হয় এখান থেকে তারা দ্রুত ফিরে আসবে। আমার মতে এত চিন্তা করার কিছু নেই। তারা সবাই পরিণত হয়েছে। বুঝেছে যে এমন ঘটনা হতেই পারে, হয়েছে। সুতরাং ওরা নিজেরাই ঠিক হয়ে যাবে বলে আমি মনে করি দুই একদিনের মধ্যে।'
তবে এই ধরণের পরিস্থিতিতে ক্রিকেটারদের যেন আর পড়তে না হয় সেজন্য আগাম ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ তার, নিউজিল্যান্ড বা ইংল্যান্ড বাংলাদেশে এলে যে নিরাপত্তা পায় বাংলাদেশের সফরেও তেমনটি থাকা উচিত বলে মনে করেন মাহমুদ, 'এখানে যখন ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া কিংবা নিউজিল্যান্ড আসে তখন পুরো সিকিউরিটি দল আসে। আমাদের হোটেল চেক করে, রাস্তাঘাট দেখে। কোন রাস্তা দিয়ে বাস আসবে এবং কোন দিক দিয়ে হোটেলে যাবে প্রত্যেকটি জিনিস দেখে। এমনকি প্রত্যেকটি ভেন্যুতেই যায়। আমার মনে হয় বাংলাদেশেরও এমন করা উচিৎ। কারণ ওরাও আন্তর্জাতিক দল, আমরাও আন্তর্জাতিক দল। আর আপনি কোথাও বলতে পারবেন না নিরাপদ। নিজেদের মাটিতে যদি এমন একটি ঘটনা ঘটতে পারে তাহলে বলা যায় বিশ্বের কোথাও এখন নিরাপত্তা নেই আসলে।'
Comments