বিশ্বকাপের আগে মনোবিদ আনার চিন্তা বিসিবির

ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ হামলার ঘটনার ধাক্কা ক্রিকেটারদের মনের উপর যাতে প্রভাব না ফেলে সেজন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখছে বিসিবি। এছাড়া সামনে বিশ্বকাপের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকায় একজন মনোবিদ দলের সঙ্গে যুক্ত করার কথা ভাবছে বোর্ড।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

ক্রাইস্টচার্চে ভয়াবহ হামলার ঘটনার ধাক্কা ক্রিকেটারদের মনের উপর যাতে প্রভাব না ফেলে সেজন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখছে বিসিবি। এছাড়া সামনে বিশ্বকাপের মতো কঠিন চ্যালেঞ্জ থাকায় একজন মনোবিদ দলের সঙ্গে যুক্ত করার কথা ভাবছে বোর্ড। 

সোমবার ক্রাইস্টচার্চের ঘটনায় ক্রিকেটারদের অল্পের জন্য রক্ষা পাওয়া আর সেখানে নিহতদের জন্য মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করে বিসিবি। মিলাদ মাহফিল শেষে বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান জানান মানসিক ট্রমা কাটাতে ক্রিকেটারদের সব রকম সহযোগিতা করবেন তারা। তবে কেবল এই ঘটনার কারণেই নয়, বিশ্বকাপে ভালো করতেও চাই মনস্তাত্ত্বিক জোর। 

বিসিবি প্রধান নাজমুল হাসান জানালেন  এসব কিছু বিবেচনায় মনোবিদ আনার কথা ভাবছে বোর্ড, 'এ রকম কিছু চিন্তা করছি। আমরা ওদের পর্যবেক্ষণে  রেখেছি। তবে এ জন্যই (ক্রাইস্টচার্চের ঘটনা) যে মনোবিদ আসবে, তা নয়। আমরা ঠিক করেছি যে, সব মিলিয়ে, বিশ্বকাপ আছে সামনে, তার আগে একজন মনোবিদ এসে যদি ওদের সাথে সময় কাটায় তা দলের জন্যই ভালো। তখন যদি কারো মনে হয় কারো বিশেষ কোনো সাহায্য দরকার, তাহলে অবশ্যই তা নেয়া হবে।'

বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মনোবিদের শরণাপন্ন হওয়ার উদ্যোগ এই প্রথমই নয়। এর আগে একাধিকবার কানাডা প্রবাসী বাংলাদেশি মনোবিদ আজহার আলীকে উড়িয়ে আনা হয়েছিল। ক্রিকেট যতটা স্কিলের খেলা, ততটাই মনস্তাত্ত্বিক লড়াই। এই বোধ থেকে মানসিক শক্তি বাড়ানোর ফায়দাও মিলেছে। বিশ্বকাপের আগে তাই আবার মনোবিদের ক্লাসে ক্রিকেটারদের বসানোর ইচ্ছা বিসিবির। 

সোমবার মিলাদ মাহফিলে এসেছিলেন মাহমুদউল্লাহ, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিমরা। ছিলেন মাশরাফি মর্তুজাও। বোর্ড প্রধান আলাদা করে সবাইকে নিয়ে বসে কথাও বলেছেন। জানালেন এই ঘটনার পর সবার মনের অবস্থা বুঝতে চেয়েছেন তিনি,  'ওদের মানসিক অবস্থা বোঝারও ব্যাপার ছিলো। আসলে এর চেয়ে ভয়াবহ মানসিক অবস্থা তো আর হতে পারে না। তবে আমার বিশ্বাস ওরা দ্রুত মানসিক অবস্থা দ্রুত উন্নতি করতে পারবে।'

 

Comments

The Daily Star  | English

How Islami Bank was taken over ‘at gunpoint’

Islami Bank, the largest private bank by deposits in 2017, was a lucrative target for Sheikh Hasina’s cronies when an influential business group with her blessing occupied it by force – a “perfect robbery” in Bangladesh’s banking history.

8h ago