বাঘাইছড়ির হত্যাকাণ্ড আঞ্চলিক সমস্যার বহিঃপ্রকাশ: সিইসি

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ব্রাশফায়ারে হতাহতের ঘটনা আঞ্চলিক সমস্যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।
cec
প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। ফাইল ছবি

পার্বত্য জেলা রাঙামাটির বাঘাইছড়িতে ব্রাশফায়ারে হতাহতের ঘটনা আঞ্চলিক সমস্যার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা।

আজ (২১ মার্চ) আগারগাঁয়ে নির্বাচন ভবনের মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন তিনি।

এসময় ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ ও যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান উপস্থিত ছিলেন।

সিইসি বলেন, পাহাড়ের উপর থেকে দৃস্কৃতিকারীদের অতর্কিত গুলিবর্ষণে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যসহ সাতজন নিহত এবং ২৪ জন আহত হন। নৃশংস ও বর্বর হামলায় নির্বাচন কমিশন মর্মাহত। এই ঘটনায় আহতদের মধ্যে ঢাকা সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে সাতজন ও বাকিদের চট্টগ্রামে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালসহ অন্যান্য হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সিইসি বলেন, এই ঘটনা ঘটনার সাথে সাথে কমিশন তাদের উদ্ধার ও চিকিৎসার ব্যবস্থা করেছে।

নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা দেওয়ার কথা উল্লেখ করে সিইসি বলেন, নিহতদের প্রত্যেক পরিবারকে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকা করে দেওয়া হবে। আহতদের চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছে কমিশন। এছাড়াও, আহতদের ধরণ বুঝে ১ লাখ বা ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়া হবে।

নিহতদের পরিবারের কেউ যদি চাকরিযোগ্য থাকে এবং নির্বাচন কমিশনে যদি সুযোগ থাকে তাহলে তাদের চাকরি দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, “এগুলো চোরাগোপ্তা হামলা। এ জাতীয় ঘটনা ঘটবে এটা তো কেউ আশঙ্কা করে না। সতর্কতামূলক হিসেবে আমরা সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছি্। যার ফলে সারাদিন নির্বাচনে কোনো অপ্রীতিকর কোনো ঘটনা ঘটেনি।”

“যদিও তারা কোথাও কোথাও অপচেষ্টা চালিয়েছিলো” উল্লেখ করে সিইসি বলেন, “সার্বক্ষণিক টহলদারির কারণে তারা নির্বাচনে ব্যাহত করার চেষ্টা করেও সফল হতে পারেনি। রাতের অন্ধকারে অতবড় পাহাড়ি অঞ্চলে কোথায়, কীভাবে এ জাতীয় আক্রমণ হয়। এটা অ্যাসেস করা এবং পিঙ্ক আউট করা সম্ভব নয়।”

Comments