শুরুর ছন্দ টেনে নিতে প্রস্তুত হচ্ছেন সৌম্য
ইনিংসের শুরুতেই সৌম্য সরকারের ব্যাটে দেখা যায় আলোর ঝলকানি, চোখ ধাঁধানো দাপট দেখিয়ে দেন বড় কিছুর ইঙ্গিত। কিন্তু হুট করেই গোলমেলে আউটে হয়ে যায় সব ধুলিসাৎ। বিশ্বকাপের আগে এই সংকট কাটাতে তৈরি হচ্ছেন তিনি।
অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা বলে দিয়েছেন বিশ্বকাপে মানসিক দিক থেকে প্রস্তুতিটা বেশি জরুরী। বড় ম্যাচে বাংলাদেশের ফিনিশিংয়ের ঘাটতির কারণও এই মনস্তাত্ত্বিক দেয়াল টপকাতে না পারা। সৌম্যেরও মনে হচ্ছে নিজের মনের সঙ্গে বোঝাপড়ায় মিলতে পারে উপায়। ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে প্রতি ম্যাচই তাই তার কাছে ঘাটতি দূর করার মিশন।
নিউজিল্যান্ডে ওয়ানডে সিরিজ খুব একটা ভালো যায়নি সৌম্যের। প্রথম দুই ম্যাচে শুরুটা পেয়েও (৩০ ও ২২) হারিয়েছেন পথ। তার আগে বেশ অনেকদিন পর ওয়ানডে দলে ফিরে জিম্বাবুয়ে আর উইন্ডিজের বিপক্ষে বড় রান পেয়েছিলেন, ব্যাটে ছিল চেনা আধিপত্য।
তবে এই কোনও সিরিজে রান পাওয়া, কোনও সিরিজে মাঝপথে তালগোল পাকানোর রোগ নিয়েই চলছে তার ক্যারিয়ার। এবার বিশ্বকাপে টপ অর্ডারে অন্যতম ভরসা ভাবা হচ্ছে সৌম্যকে। কিন্তু তার আগে বড় মঞ্চ সামনে তার নিজের প্রস্তুতি কতটা?
বৃহস্পতিবার ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচের আগের দিন আবাহনীর অনুশীলনের পর জানালেন নিজের ঘাটতির জায়গা জেনেই নিচ্ছেন প্রস্তুতি, 'এখন যেহেতু আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেট চলছে। সেখানে যে ম্যাচগুলো পাবো সেখানে চেষ্টা করবো লম্বা সময় ব্যাটিং করা। মাঝখানে যে পরিস্থিতিটা থাকে সেটি নিয়ে একটু কম চিন্তা করা। আর দলের পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলা গুরুত্বপূর্ণ। আমি যদি এভাবে খেলতে থাকি তাহলে আমার মধ্যে সেটি বেশি গ্রো আপ করতে থাকবে। সেটি নিয়েই বেশি কাজ করছি।'
নিউজিল্যান্ড থেকে ফিরে প্রিমিয়ার লিগে এই পর্যন্ত তিন ম্যাচ খেলেছেন সৌম্য। তিনটিতেই বড় কিছুর ইঙ্গিত দিয়ে নিভেছে তার ইনিংস। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও এই পুরনো রোগ সারেনি এখনো। সৌম্য প্রিমিয়ার লিগে নানা কিছু করে এই সংকট থেকে বেরুতে পরিকল্পনা আঁটছেন, 'আমি মনে করি আমার জন্য ম্যাচের প্রস্তুতিটি অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আর খেলার মধ্যে পরিকল্পনাটা অনেক বেশি থাকতে হবে। সাধারণত ৩০ বা ৪০ করার পর আউট হয়ে যাচ্ছি ঐ জায়গাটা থেকে কিভাবে বের হওয়া যায়, বাইরে থেকে চিন্তা না করে প্ল্যান বদলে সেখান থেকে সহজে কিভাবে বের হওয়া যায় তেমন পরিকল্পনা করছি।'
যেমন খেলা উচিত তেমন খেলে যদি আউটও হয়ে যান তবেও অস্থির না হয়ে ওই পরিকল্পনা ধরে আগাতে চান আগ্রাসী এই ব্যাটসম্যান, 'গত তিন ম্যাচেও আপনি দেখবেন যে আমি ৩৩, ৩৬, ৪৬ করে আউট হয়ে গিয়েছি। এর মধ্যে যে পরিকল্পনাগুলো ছিলো সেটি আমার জন্য ভালো এবং আমিও খুশি যে আমার পথটা ঠিক ছিলো। তবে আমি আউট হয়েছি ভালো বলে। দিনটি আমার ছিলো না আসলে। আমার যে পথটা ছিলো আমার কাছে মনে হয়েছে যে সেটি যদি ধরে রাখতে পারি তাহলে সেখান থেকে ফেরা সম্ভব'
Comments