ব্যাটিংয়ের ধার বাড়াচ্ছেন মিরাজ

কদিন আগেই বিয়ে করেছেন, শুরু হয়েছে নতুন জীবন। তবে মধুচন্দ্রিমার তো আর ফুরসত নেই। গেল শুক্রবার থেকেই প্রিমিয়ার লিগে ব্যস্ত হয়ে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ার বড় কারণ অবশ্য বিশ্বকাপ। সেখানে অফ স্পিনার হিসাব দলের মূল ভরসা তিনিই। তবে কেবল বোলিং নয়। দলে অবদান রাখতে ব্যাট হাতেও ধার বাড়াচ্ছেন মিরাজ।
Mehidy Hasan Miraz
ফাইল ছবি: ফিরোজ আহমেদ

কদিন আগেই বিয়ে করেছেন, শুরু হয়েছে নতুন জীবন। তবে মধুচন্দ্রিমার তো আর ফুরসত নেই। গেল শুক্রবার থেকেই প্রিমিয়ার লিগে ব্যস্ত হয়ে গেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ। খেলায় ব্যস্ত হয়ে পড়ার বড় কারণ অবশ্য বিশ্বকাপ। সেখানে অফ স্পিনার হিসাব দলের মূল ভরসা তিনিই। তবে কেবল বোলিং নয়। দলে অবদান রাখতে ব্যাট হাতেও ধার বাড়াচ্ছেন মিরাজ।

২১ মার্চ দীর্ঘদিনের প্রেমিকার সঙ্গে আকদ সম্পন্ন হয়ে মিরাজের। তার এক সপ্তাহ পরই আবাহনীর হয়ে মাঠে নামেন মিরাজ। তবে সেই ম্যাচটি ছিল বিকেএসপিতে। বিয়ের পর তাই রোববারই প্রথম এলেন মিরপুরে।

জাতীয় দলে তার মূল ভূমিকা বোলিং। তবে এদিন কেবল ব্যাটিং অনুশীলন করেছেন মিরাজ। ম্যাচের ফাঁকে এভাবে ব্যাট-বলের অনুশীলনের শিডিউল ভাগ করে নিয়েছেন, ‘আজকে অনেকক্ষন ব্যাটিং করেছি, কালকে ম্যাচ খেলবো পরশু আবার বোলিং করবো, জিম করবো। এ যে একদিন দুইদিন গ্যাপ আছে, এই গ্যাপটাকেই ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে মনে হয়। এটাই কাজে লাগাবো।’

বিশ্বকাপে ম্যাচ খেললে সাধারণত আট নম্বরে নামতে হবে মিরাজকে। এশিয়া কাপ ফাইনালে ওপেনিংয়ে নামার ফাটকা বাদ দিলে ওটাই মূলত মিরাজের জায়গা। ওই পজিশনে অনেক সময় স্লগ ওভারে দ্রুত রান উঠানোর চাহিদা থাকবে। আবার যদি দল ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে তখন দায়িত্ব বেড়ে যাবে মিরাজের। এসব কিছু ভেবেই বিশ্বকাপের আগে ব্যাটিংয়ে আলাদা নজর তার, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের দলটা অনেক ভালো এবং বিপদের সময় ২০-৩০টা রান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়েই কাজ করছি, অনেক বড় ইনিংস খেলার সুযোগ আমি পাবো না। আমার কাছ থেকে দল আশা করে ২০-৩০-৪০ এমন রান যদি স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারি বা শেষের দিকে একটা জুটি গড়তে পারি তাহলে দলের জন্য অনেক সাহায্য হবে। এটা নিয়েই কাজ করছি শেষের ২০-৩০টা রান কিভাবে করতে হবে।’

স্লগ ওভারে ব্যাট করার সময় ম্যাচ পরিস্থিতি কি দাঁড়াবে জানা আছে মিরাজের। সেসব ভেবেই আলাদাভাবে ঠিক করেছেন অনুশীলনের তরিকা,  ‘ওই সময়টায় অনেক ভালো বোলাররা বোলিং করেন, ভিন্ন ভিন্ন ফিল্ডিং সেট আপ থাকে। এইগুলাই এখানে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই পরিস্থিতি গুলা যেন ওইখানে সামাল দিতে পারি। নিউজিল্যান্ডে যখন খেলেছি তখন দেখেছি। ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন অনেকটাই একই। তাই আমাকে কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে সেটা নিউজিল্যান্ড থেকেই অনেক কিছু ধরতে পেরেছি। দেশে এগুলো কাজে লাগাতে চাই এখন। ’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago