খেলাঘরকে উড়িয়ে সুপার লিগে আবাহনী
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার মাঝে দাঁড়িয়ে ফিফটি পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।ফিফটির কাছে গেলেন সাব্বির রহমান আর মেহেদী হাসান মিরাজও। তবু আবাহনীর সংগ্রহ ছিল মাঝারি। কিন্তু মাঝারি একটা পুঁজি নিয়েও বল হাতে খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতিকেকে একদম পাত্তা দিল না আবাহনীর স্পিনাররা।
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সোমবার অষ্টম রাউন্ডের খেলায় আবাহনী করে ২৬২ রান। পরে খেলাঘরকে ১৩০ রানে থামিয়ে জিতেছে ১৩২ রানে। এই জয়ে ৮ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার আগে সুপার লিগ নিশ্চিত করেছে মাশরাফি মর্তুজারা।
বিকেএসপির চার নম্বর মাঠের নতুন উইকেটে টস হেরে ব্যাট করতে জমেনি আবাহনীর ওপেনিং জুটি। ১২ রান করে সৌম্য সরকার আর ২৫ রান করে ফেরেন জহুরুল ইসলাম। ওয়ানডাউনে নামা শান্ত আর চারে নামা সাব্বির রহমান গড়েন ৯৩ রানের দারুণ জুটি। ৪৯ বলে ৪৯ করে সাব্বিরের বিদায়ে ভাঙে এই জুটি। অধিনায়ক মোসদ্দেক হোসেন রান পাননি। ফিফটির পর থামেন শান্তও। তবে আবাহনী তবু লড়াইয়ের পূঁজি পেয়েছে মিরাজের ব্যাটে। টেল এন্ডারদের নিয়ে দলকে আড়াইশ পার করান তিনি।
আবাহনীর বোলিং মাথায় নিলে ২৬৩ রান তাড়া করা খেলাঘরের জন্য শক্ত চ্যালেঞ্জ। সেই চ্যালেঞ্জে ধারেকাছেও যেতে পারেনি তারা। সানজামুল ইসলাম, মিরাজ আর নাজমুল ইসলাম মিলেই মুড়ে দেন খেলাঘরের ইনিংস। ৩৬ রানে ৪ উইকেট নিয়ে সানজামুলই আবাহনীর সেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী: ৪৮.৪ ওভারে ২৬২ (জহুরুল ২৫, সৌম্য ১২, শান্ত ৬০, সাব্বির ৪৯, মোসাদ্দেক ১১, মিরাজ ৪৭, মুনীম ১৬, মাশরাফি ৪, সানজামুল ১৩, নাজমুল ৬, আরিফুল ২*; রবিউল ৫/৬৪, হালিম ০/৪৬, ইফরান ৩/৪২, মাসুম ১/৩৯, মইনুল ০/৩৭, রবি ১/২৮)
খেলাঘর সমাজ কল্যাণ সমিতি: ৩২.৫ ওভারে ১৩০ (রবি ০, কমল ৩২, মাহিদুল ২২, মেনারিয়া ৮, ইফতেখার ৩৬*, নাজিম ১০, মইনুল ২, মাসুম ০, রবিউল ৪, হালিম ২, ইফরান ০; আরিফুল ১/১৭, মাশরাফি ০/২৪, নাজমুল ২/১৪, সানজামুল ৪/৩৬, মিরাজ ২/১৮, মোসাদ্দেক ১/৯, সৌম্য ০/১২)
ফল: আবাহনী ১৩২ রানে জয়ী
ম্যান অব দা ম্যাচ: নাজমুল হোসেন শান্ত
Comments