সুপ্রভাতের মালিক ননী গোপাল গ্রেপ্তার

শিক্ষার্থী আবরাব আহাম্মেদকে হত্যাকারী বাস সুপ্রভাত পরিবহনের মালিক ননী গোপাল সরকার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
Suprabhat owner
৫ এপ্রিল ২০১৯, শিক্ষার্থী আবরাব আহাম্মেদকে হত্যাকারী বাস সুপ্রভাত পরিবহনের মালিক ননী গোপাল সরকারকে গ্রেপ্তার করার পর গোয়েন্দা পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়। ছবি: স্টার

শিক্ষার্থী আবরাব আহাম্মেদকে হত্যাকারী বাস সুপ্রভাত পরিবহনের মালিক ননী গোপাল সরকার গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আজ (৫ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মাসুদুর রহমান জানান, গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর মুগদা এলাকা থেকে সুপ্রভাত বাসের মালিক ননী গোপাল সরকারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, “প্রাথমিকভাবে সুপ্রভাত বাসটির চালক সিরাজুল ইসলাম দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করায় ধারণা ছিলো সেই আবরারকে হত্যা করেছে। যে কারণে পুলিশ তাকে মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে।

পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে কন্ডাক্টর মো. ইয়াসির আরাফাত (২২) এবং হেলপার মো. ইব্রাহিম হোসেন (২১) কে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, আসামিরা আদালতে দায় স্বীকার করে এবং বাসের মালিক ননী গোপাল সরকারের নির্দেশে সেদিন বাস চালিয়েছিলেন মর্মে জবানবন্দি দেন কন্ডাক্টর ইয়াসির।

জিজ্ঞাসাবাদে ননী গোপাল সরকার গোয়েন্দা পুলিশকে জানায়, বাসটির রুট পারমিট ছিলো মহাখালী থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রুটে। কিন্তু সুপ্রভাত বাস কোম্পানির প্রতিনিধির সাথে যোগসাজশে সুপ্রভাত ব্যানারে সদরঘাট (ভিক্টোরিয়া পার্ক) গাজীপুরা রুটে চালিয়ে আসছিলো, যোগ করেন ডিএমপি কর্মকর্তা।

এক প্রশ্নের জবাবে ডিসি মাসুদুর রহমান বলেন, “দুর্ঘটনায় মালিকের প্রাথমিক দায়িত্ব ছিলো আহত ব্যক্তির দ্রুত চিকিৎসা নিশ্চিত করা। কিন্তু তা না করে যানবাহনটি বাঁচানোর জন্য দ্রুত পালাতে গিয়ে আরেকটি দুর্ঘটনা সংঘটিত করে। মালিক ননী গোপাল সম্পূর্ণ দায়িত্বহীন পরিচয় দিয়ে অদক্ষ হেলপারকে বাসটি নিয়ে পালিয়ে যেতে নির্দেশনা দিয়েছিলেন।”

তিনি আরও জানান, বাসটি পারমিটবিহীন রুটে সেদিন চালানো হয়েছিলো। এটি ৪৫ আসনের হলেও পরে তা পরিবর্তন করে করা হয়েছে ৪৯ আসনের।

উল্লেখ্য, গত ১৯ মার্চ রাজধানীর নর্দ্দা এলাকায় সুপ্রভাত বাসের চাপায় ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালের শিক্ষার্থী আবরার আহাম্মেদ নিহত হন। এ ঘটনায় আবরারের বাবা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আরিফ আহাম্মেদ চৌধুরী বাদী হয়ে গুলশান থানায় মামলা করেন। মামলায় বাসটির চালক সিরাজুল ইসলাম, কন্ডাক্টর ইয়াসির আরাফাত, চালকের সহকারী ইব্রাহীম এবং বাসটির মালিককে আসামি করা হয়।

Comments