আল-আমিনের বিধ্বংসী রূপ দেখল বিকেএসপি
আগে ব্যাট করে খুব বড় সংগ্রহ করতে পারেনি প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব। লক্ষ্য দিতে পেরেছিল ২২৩ রানের। কিন্তু সে লক্ষ্যকেই পাহাড়সম বানিয়ে ফেললেন পেসার আল-আমিন হোসেন। তার তোপে বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান (বিকেএসপি) গুটিয়ে গেছে মাত্র ৫০ রানে। ফলে ১৭২ রানের বিশাল জয় পেয়েছে দলটি। তাতেই সুপার লিগ নিশ্চিত করলো প্রাইম ব্যাংক।
অনেক দিন থেকেই জাতীয় দলের বিবেচনায় নেই আল-আমিন। ছন্দ হীনতা তো ছিলই, সঙ্গে রয়েছে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগও। তবে দুঃসময় কাটিয়ে ওঠার ইঙ্গিতটা দিলেন ভালোভাবেই। লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই আল-আমিনের বিধ্বংসী রূপ দেখে বিকেএসপি। একাই পাঁচটি উইকেট তুলে নিয়েছেন এ পেসার।
ওপেনার প্রান্তিক নওরোজ নাবিলকে উইকেটরক্ষক এনামুল হক বিজয়ের তালুবন্দি করে শুরু করেন আল-আমিন। এই একটি উইকেট পেতেই অন্যের সাহায্য নিয়েছেন তিনি। বাকী চারটির তিনটি করেছেন সরাসরি বোল্ড, অপরটির ক্যাচ নিজেই লুফে নিয়েছেন। শুধু তাই নয়, বিকেএসপির একমাত্র দুই অঙ্কের কোটা স্পর্শ করা ব্যাটসম্যান পারভেজ হোসেন ইমনের ক্যাচটাও নিয়েছেন আল-আমিন।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১৫ রানের ইনিংস খেলেন পারভেজ। ৮ ওভার বল করে ২০ রানের খরচায় ৫টি উইকেট নেন আল-আমিন। তার সঙ্গে দারুণ বোলিং করেছেন স্পিনার নাঈম হাসানও। ৬ রানের বিনিময়ে পেয়েছেন ২টি উইকেট। ফলে ২২ ওভারে ৫০ তুলতেই অলআউট হয় বিকেএসপি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের কোনো দলের এটি পঞ্চম সর্বনিম্ন স্কোর। ২০০২ সালে জাতীয় লিগের ওয়ানডে সংস্করণে সিলেটের বিপক্ষে চট্টগ্রামের করা ৩০ রান সর্বনিম্ন দলীয় রানের রেকর্ড।
এর আগে ফতুল্লার খান সাহেব ওসমান আলী স্টেডিয়ামে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২২২ রান তোলে প্রাইম ব্যাংক। ব্যাট করতে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে তারাও। তবে ষষ্ঠ উইকেটে নাহিদুল ইসলামের সঙ্গে ভারতীয় রিক্রুট আভিমান্যু ঈশ্বরনের ৯৪ রানের জুটিতেই লড়াকু সংগ্রহ পায় দলটি।
১০৯ বলে ৯২ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেন ঈশ্বরন। মাত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি বঞ্চিত হওয়া ইনিংসে দেখিয়েছেন কীভাবে ধৈর্য ধরে ব্যাট করতে হয়। বাউন্ডারি মেরেছেন মাত্র ৩টি (২টি চার ও ১টি ছক্কা)। রানআউটে কাটা পড়ে সেঞ্চুরি হাতছাড়া হয় তার। এছাড়া নাহিদুল খেলেছেন ৫০ রানের ইনিংস। ৭০ বলে ১টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। বিকেএসপির পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন সুমন খান, নওসাদ ইকবাল ও হাসান মুরাদ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব: ৫০ ওভারে ২২২/৮ (বিজয় ২৩, সালমান ০, ঈশ্বরন ৯২, আল-আমিন জুনিয়র ১৭, আরিফুল ০, কাপালী ১, নাহিদুল ৫০, নাঈম ১৫, মনির ৩*, রাজ্জাক ১৩*; তানজিম ০/৫৩, সুমন ২/৪১, নওসাদ ২/৩৭, মুরাদ ২/৩৫, আমিনুল ০/৩১, শামিম ০/২২)।
বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান: ২২ ওভারে ৫০ (প্রান্তিক ২, ফাহাদ ৫, আমিনুল ০, আকবর ২, শামিম ২, কাইয়ুম ৭, পারভেজ ১৫, তানজিম ৪, নওসাদ ২*, সুমন ০, মুরাদ ০; আল-আমিন ৫/২০, আরিফুল ০/৪, মনির ১/১৫, নাহিদুল ০/২, নাঈম ২/৬, রাজ্জাক ১/০)।
ফলাফল: প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ১৭২ রানে জয়ী
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: আল-আমিন হোসেন (প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব)
Comments