ভেস্তে গেছে সমঝোতা, লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবিতে অনড় ববি শিক্ষার্থীরা

অচলাবস্থা কাটেনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে শনিবার শিক্ষক, প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকের পর আজ রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও উপাচার্যের পদত্যাগের লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবিতে ১৩তম দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
Barisal University
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

অচলাবস্থা কাটেনি বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে। উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনরত সাধারণ শিক্ষার্থীদের নিয়ে শনিবার শিক্ষক, প্রশাসন ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে সমঝোতা বৈঠকের পর আজ রোববার থেকে বিশ্ববিদ্যালয় খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও উপাচার্যের পদত্যাগের লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবিতে ১৩তম দিনের মতো বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

পদত্যাগের জন্য গত সোমবার উপাচার্যকে ৪৮ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছিলেন শিক্ষার্থীরা। তবে পদত্যাগ করেননি উপাচার্য এস এম ইমামুল হক। গত ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবসে এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বললে পরদিন থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেন শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলন স্তিমিত করতে ২৮ মার্চ বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে হল ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ড. হাসিনুর রহমান জানান, সমঝোতা বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী শনিবার রাতে হল ও ক্যান্টিন খুলে দেওয়া হয়েছে।

রেজিস্ট্রার বলেন, আজ রোববার সকাল থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম শুরু হওয়ার কথা ছিল। সে অনুযায়ী সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের বাস চলাচল শুরু করে। কিন্তু ক্যাম্পাসে এসে তারা দেখেন সবগুলো ফটক ভেতর থেকে তালা মেরে রেখেছেন শিক্ষার্থীরা। ফলে তারা কেউ বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রবেশ করতে পারেননি।

উপাচার্যের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীরা আজও ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন। একাডেমিক ভবনের সামনে তারা বলেছেন, শনিবার তারা যে প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন তা ছিল মৌখিক। তাই দাবি পূরণের লিখিত প্রতিশ্রুতি না পাওয়া পর্যন্ত বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

গতকাল সকাল ১০টায় সার্কিট হাউস মিলনায়তনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে শুরু হওয়া বৈঠকটি ছয় ঘণ্টা ধরে চলে। বৈঠকে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, নগর পুলিশ কমিশনার মো. মোশারফ হোসেন, জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমান, শিক্ষাবিদ মো. হানিফ, প্রবীণ আইনজীবী এস এম ইকবাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. হাসিনুর রহমানসহ বেশ কয়েক শিক্ষক এবং আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের ১৫ জন প্রতিনিধি অংশ নেন।

বৈঠক শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “উপাচার্য এস এম ইমামুল হকের পদের মেয়াদ রয়েছে প্রায় দুই মাস। এই দুই মাসে তিনি যাতে কর্মস্থলে না আসেন, সে লক্ষ্যে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে একটি লিখিত সুপারিশ পাঠাব। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।”

তবে বৈঠকের সিদ্ধান্তের ব্যাপারে আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানেন না দাবি করে উপাচার্য বলেন, “এ ব্যাপারে আমার সঙ্গে কেউ আলোচনা করেননি। আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অসহযোগিতার কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরিয়ে আনা যায়নি। আমার কিছুই করার নেই।”

সিদ্ধান্ত আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হলে, ছুটিতে যাওয়ার কথা বিবেচনা করবেন বলেও যোগ করেন উপাচার্য।

Comments

The Daily Star  | English

Over 5,500 held in one week

At least 738 more people were arrested in the capital and several other districts in 36 hours till 6:00pm yesterday in connection with the recent violence across the country.

13h ago