সিটিকে ভয় পাচ্ছে না টটেনহ্যাম

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দলের তালিকা করলে ম্যানচেস্টার সিটির নামটি থাকবে সবার উপরে। আসরে সবচেয়ে বড় জয়গুলো যে পেয়েছে তারাই (৬-০ ও ৭-০)। ১০ জনের দল নিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকেও জয়ের রেকর্ড রয়েছে। দলটি রয়েছে তাদের ইতিহাসের প্রথম ‘কোয়াড্রোপল’ জয়ের পথে। অথচ এমন দলকে ভয় পাচ্ছে না টটেনহ্যাম হটস্পার্স।
ছবি: এএফপি

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স লিগে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর দলের তালিকা করলে ম্যানচেস্টার সিটির নামটি থাকবে সবার উপরে। আসরে সবচেয়ে বড় জয়গুলো যে পেয়েছে তারাই (৬-০ ও ৭-০)। ১০ জনের দল নিয়ে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকেও জয়ের রেকর্ড রয়েছে। দলটি রয়েছে তাদের ইতিহাসের প্রথম ‘কোয়াড্রোপল’ জয়ের পথে। অথচ এমন দলকে ভয় পাচ্ছে না টটেনহ্যাম হটস্পার্স।

কোচ মাউরিসিও পচেত্তিনোর অধীনে দারুণ খেলছে টটেনহ্যাম। আট বছর পর আবারো কোয়ার্টার ফাইনালে দলটি। গড়তে চায় নতুন ইতিহাস। সামনে বাধা পেপ গার্দিওলার দুর্দান্ত ছন্দে থাকা সিটি। কিন্তু সে বাধা উতরাতে বদ্ধপরিকর তারা। দলের অন্যতম খেলোয়াড় হিউং-মিন সনের কণ্ঠে ফুটল আত্মবিশ্বাসের ছোঁয়া, ‘এটা বেশ বড় একটি লড়াই তবে আমরা একটুও ভীত নই।’

মৌসুমের সব হোম ম্যাচ এবার ওয়েম্বলিতে খেলেছিল টটেনহ্যাম। গত সপ্তাহে ক্রিস্টাল প্যালেসকে হারিয়ে এক বিলিয়ন ডলার খরচ করা নতুন স্টেডিয়ামে শুরুটা ভালোই হয়েছে তাদের। সিটির বিপক্ষেও এমন কিছুই চাইছেন সন, ‘আমাদের সাহসী থাকতে হবে এবং উচ্চাশা প্রদর্শন করতে হবে। আমাদের সমর্থকরা আমাদের বাড়তি উদ্দীপনা জোগাবে। আমাদের দলে সবাই ইতিবাচক। আর আমরা এই ইতিবাচক দিকটাই যে কোন বড় দলের বিপক্ষে ব্যবহার করতে পারি।’

তবে সিটি এবার এগিয়ে যাচ্ছে দুর্দান্ত গতিতে। এরমধ্যেই লিগ কাপ জিতেছে তারা। দিন কয়েক আগে এফএ কাপের ফাইনালে উঠে  শিরোপার পথে এগিয়েছে অনেকটাই। আর নিজেদের বাকী ম্যাচগুলো জিতলে নিশ্চিত হবে প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাও। আর স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের পথে বাধা এখন টটেনহ্যাম। তবে তাদের বেশ সমীহ করছেন সিটি কোচ, ‘ওরা (টটেনহ্যাম) দারুণ দল। হ্যারি কেইনের মতো স্ট্রাইকার রয়েছে, যে অনেক গোল করেছে। সব বিভাগেই তারা শক্তিশালী একটি দল।’

গার্দিওলার অধীনে লিগে দারুণ খেললেও ইউরোপে তেমন সাফল্য পায়নি সিটি। ২০১৫-১৬ মৌসুমে সেমিফাইনালে ওঠাই এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ সাফল্য। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে নামলেই কি যেন হয়ে যায় সিটিজেনদের। আর এটাও আলাদা আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে স্পারদের।

Comments