কাতারে পড়ে রয়েছে এক বাংলাদেশি রেমিটেন্স-যোদ্ধার লাশ

মধ্যপ্রাচ্যের কাতারের আলখোর হামাদ হাসপাতালের মর্গে গত ছয়দিন ধরে পড়ে রয়েছে আজিজুর রহমান (৪৮) নামে এক বাংলাদেশি রেমিটেন্স-যোদ্ধার লাশ।
Azizur Rahman
কাতারের আলখোর হামাদ হাসপাতালের মর্গে পড়ে রয়েছে মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের সৎপুর গ্রামের আজিজুর রহমানের মরদেহ। ছবি: সংগৃহীত

মধ্যপ্রাচ্যের কাতারের আলখোর হামাদ হাসপাতালের মর্গে গত ছয়দিন ধরে পড়ে রয়েছে আজিজুর রহমান (৪৮) নামে এক বাংলাদেশি রেমিটেন্স-যোদ্ধার লাশ।

মৃত আজিজুর রহমান মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা উপজেলার বর্নি ইউনিয়নের সৎপুর গ্রামের আবদুল মানিক মইনের ছেলে। কাতারে গিয়ে অসুস্থ হয়ে মারা যান তিনি।

আইনি জটিলতায় মৃত ওই প্রবাসীর লাশ দেশে আনায় অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। তার পরিবারের পক্ষ থেকে এ ব্যাপারে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করা হয়েছে।

জানা গেছে, ১ ছেলে এবং ৪ মেয়ের জনক আজিজুর রহমান ২০১৪ সালে জমিজমা বিক্রি করে জীবিকার জন্য কাতারে পাড়ি জমান। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে মেডিকেল সংক্রান্ত জটিলতায় তিনি সেখানে কাজের অনুমতি পাননি। সব হারিয়ে প্রবাসে গিয়ে খালি হাতে দেশে ফেরার কথা চিন্তাও করতে পারেননি। নিরুপায় হয়ে অবশেষে অবৈধভাবে কাতারে থেকে যান।

গত ৩ এপ্রিল হঠাৎ আজিজুর রহমান অ্যাপেন্ডিসাইটিসের ব্যথায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। বৈধ ভিসা না থাকায় রুমে থাকা কোনো প্রবাসী তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাননি। খবর পেয়ে তার ভাই সাহেদ আহমদ তাকে নিয়ে আলখোর হামাদ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এরপর থেকে নিহতের লাশ সেই হাসপাতালের মর্গে পড়ে আছে।

আজ (১০ এপ্রিল) দুপুরে সৎপুর গ্রামে নিহত আজিজুর রহমানের বাড়িতে গিয়ে মাতম চলতে দেখা গেছে। তার স্ত্রী-সন্তানরা বিলাপ করছেন। প্রতিবেশীসহ স্বজনরা যেনো সান্ত্বনা দেওয়ারও ভাষা হারিয়ে ফেলেছেন। আনোয়ারা বেগম স্বামীর লাশ দেশে আনতে সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিহত আজিজুর রহমানের এক কাতার প্রবাসী রুমমেট জানান, তিনি অবৈধভাবে কাতারে থাকায় তার লাশ দেশে পাঠাতে মেয়াদোত্তীর্ণ পাসপোর্ট, ৬ হাজার রিয়াল জরিমানা, দেশে পাঠানোর বিমান টিকিটসহ আইনি জটিলতা দেখা দিয়েছে। একমাত্র বাংলাদেশ দূতাবাস কূটনৈতিক তৎপরতার মাধ্যমে তার লাশ দেশে পাঠাতে পারে।

জালালাবাদ অ্যাসোসিয়েশন কাতারের সভাপতি নজরুল ইসলাম এবং সহসভাপতি আবদুস সাত্তার জানান, আজিজুর রহমানের লাশ দেশে পাঠানোর ব্যাপারে তারা সর্বাত্মক চেষ্টা চালাচ্ছেন।

Comments

The Daily Star  | English
PSC question leaks

PSC question paper: Probe body finds no evidence of leaks

AN investigation committee by the Public Service Commission (PSC) to probe allegations of question paper leak has found no evidence of such incident

54m ago