উৎসবহীন বাংলা চলচ্চিত্র
আর একদিন পর পহেলা বৈশাখ। বাঙালির এই প্রাণের উৎসবে মুক্তি পাচ্ছে না উল্লেখযোগ্য নতুন কোনো চলচ্চিত্র। বাংলা সিনেমার দর্শকদের জন্য মনখারাপ করা সংবাদ! অথচ কয়েকবছর আগে চিত্রটি এমন ছিলো না। উৎসবগুলোতে বড় বড় বাজেটের চলচ্চিত্র মুক্তি পেতো। ধীরে ধীরে সিনেমামুক্তি শূন্যের কোঠায় নেমে এসেছে। উৎসবহীন ধূসর হয়ে পড়েছে বাংলা চলচ্চিত্রাঙ্গণ।
সিনেমাপাড়া নামে খ্যাত এফডিসিতে নেই তেমন কোনো সিনেমার শুটিং। সংশ্লিষ্টরা জানান, সিনেমায় বেকার নায়ক-নায়িকা আর অভিনেতাদের সংখ্যা দীর্ঘ হচ্ছে। এফডিসির বিভিন্ন সংগঠনগুলো নিজেদের মধ্যে রেষারেষি, দ্বন্দ্বে বিভক্ত। কিছু সংগঠন রয়েছে পিকনিক সর্বস্ব। বছরে একবার বনভোজন করেই শেষ।
অনেকের অভিযোগ- সিনেমার উন্নয়নের জন্য সংগঠনগুলোর কোনো ভূমিকা ছিলো না গত এক বছরে। এসব সংগঠনের বেশ কয়েকজন নেতা সরকারের উচ্চর্পযায়ে সিনেমার উন্নয়নের জন্য গেলেও নিজের ব্যক্তিগত কাজের জন্য প্রথমে তদবির করে আসেন।
বর্তমানে অনেক পরিচালক বেকার হয়ে বসে আছেন বলেও জানান ঢালিউডের কয়েকজন পরিচিত মুখ। জানান, আসছে না নতুন নতুন প্রযোজক। প্রযোজক না আসার কারণ হিসেবে তারা বলেন, সিনেমা থেকে প্রযোজকরা মুনাফা ফেরত পাওয়ার নিশ্চয়তা পাচ্ছেন না। এর ফলে নতুন সিনেমা নির্মাণের সংখ্যা দিনে দিনে কমে আসছে।
নববর্ষে উল্লেখযোগ্য কোনো সিনেমা নেই বলে জানিয়েছেন চলচ্চিত্র প্রদর্শন সমিতির সভাপতি ও মধুমিতা হলের কর্ণধার ইফতেখার উদ্দিন নওশাদ।
দ্য ডেইলি স্টারকে নওশাদ বলেন, “পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে মুক্তি পাচ্ছে উত্তম আকাশ পরিচালিত ‘বয়ফ্রেন্ড’ ছবিটি। আমার প্রশ্ন হচ্ছে ছবিটি কী এমন বড় উৎসবে মুক্তির জন্য? এতো বড় উৎসবে এমন ছবি দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে? তাছাড়াও, এই ছবিটি কিছুদিন আগে কয়েকটি হলে স্বল্পপরিসরে মুক্তি পেয়েছিলো।”
সিনেমা হল মালিকদের নেতা মিয়া আলাউদ্দিন বলেন, “পহেলা বৈশাখের মতো দিনেও নতুন ছবি নেই! এ অবস্থায় কীভাবে হল টিকিয়ে রাখবো আমরা। এ পরিস্থিতিতে কী করার আছে আমাদের।”
Comments