অধ্যক্ষের নির্দেশে যেভাবে আগুন দেওয়া হয় নুসরাতের গায়ে

Feni madrasa student
আগুনে পোড়া ফেনীর মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি। ছবি: সংগৃহীত

ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার নির্দেশে নুসরাত জাহান রাফির গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

পিবিআই’র প্রধান বনজ কুমার মজুমদার আজ রাজধানীর ধানমন্ডিতে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেন, পিবিআই এখন পর্যন্ত ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে যাদের মধ্যে পাঁচ জন নুসরাত হত্যার মাস্টারমাইন্ড।

পিবিআইয়ের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে আট জন ওই হত্যা মামলার আসামি।

বনজ কুমার বলেন, নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার ঘটনার একদিন আগে আসামি নুরুদ্দিন কারাগারে মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ উদ দৌলার সঙ্গে দেখা করেছিলেন। সিরাজের নির্দেশ অনুযায়ী ৫ এপ্রিল রাত ৯টার দিকে মদ্রাসার হোস্টেলে একটি বৈঠক করেন তিনি। বৈঠকে নুরুদ্দিন, শাহাদাত হোসেন শামিম, জাভেদ হোসেন ও হাফেজ আব্দুল কাদের পরদিন নুসরাতের গায়ে আগুন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।

গ্রেপ্তার হওয়া আসামিদের বরাতে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ গ্রেপ্তার হওয়ায় পুরো আলেম সমাজ হেয় হচ্ছে বলে তারা নুসরাতের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন। এছাড়া শামিমের প্রেমের প্রস্তাব নুসরাত একাধিকবার প্রত্যাখ্যান করার কারণেও তারা ক্ষিপ্ত ছিলেন।

পরিকল্পনা বাস্তবায়নের জন্য তারা মাদ্রাসার দুজন ছাত্রী ও তিন জন ছাত্রের সঙ্গে কথা বলেন। এই পাঁচ জনই তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করেন। এদের মধ্যে একজন ‘বোরকা’ ও কেরোসিনের ব্যবস্থা করেন।

পরিকল্পনা মোতাবেক দুজন ছাত্র ও দুজন ছাত্রী ৬ এপ্রিল বোরকা পরে পরীক্ষা কেন্দ্রের টয়লেটে লুকিয়ে ছিলেন। তারাই নুসরাতের শরীরে আগুন লাগিয়েছেন।

গুরুতর দগ্ধ অবস্থায় ওই দিন রাতে নুসরাতকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। গত বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে নুসরাত মারা যান।

Comments

The Daily Star  | English

Israel welcomes 'all help' in striking Iran

Israel hits nuclear sites, Iran strikes hospital as conflict escalates

1d ago