সাইফউদ্দিনের বোলিং তোপে অপেক্ষা বাড়ল মাশরাফির

ছবি: বিসিবি

আগের ব্যাট করে পুঁজিটা খুব বড় করতে পারেনি বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আবাহনী লিমিটেড। তবে শুরুতে উইকেট নিতে পারলে অল্প পুঁজিও হয়ে ওঠে রানের পাহাড়। মিরপুর শেরে বাংলায় তাই করে দেখালো খালেদ মাহমুদ সুজনের শিষ্যরা। আর তার নেতৃত্ব দিয়েছেন তরুণ অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। তার বোলিং তোপেই প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাবকে ১৬৫ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে সুপার লিগে শুভ সূচনা করেছে চ্যাম্পিয়নরা।

ম্যাচে বিশেষ দৃষ্টি ছিল জাতীয় দলের অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজার দিকে। দেশের দ্বিতীয় ক্রিকেটার হিসেবে ৪০০ উইকেটের মাইলফলক থেকে দূরে আছেন এ পেসার। কিন্তু এদিনও তাকে উইকেটবঞ্চিত থাকতে হয়। এ নিয়ে টানা তিন ম্যাচ উইকেটহীন থাকলেন তিনি। ম্যাচের সব আলোই কেড়ে নেন সাইফউদ্দিন। শুরু থেকে গতি ও সুইংয়ের ঝলক দেখিয়ে ক্যারিয়ারের সেরা বোলিং করে একাই তুলে নেন ৫টি উইকেট।

লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই সাইফউদ্দিনের তোপে পড়ে দোলেশ্বের। শুরুতেই তরুণ ইমরান উজ্জামানকে তুলে নেন বাড়তি বাউন্সে। এরপর সৈকত আলীও একই পথে হাঁটেন। একে একে তুলে নেন ফরহাদ হোসেন, মার্শাল আইয়ুব ও সাইফ হাসানকেও। ফলে ৩৪ রানেই শেষ টপ অর্ডারের ৫ ব্যাটসম্যান। আর সাইফউদ্দিনের বোলিং ফিগার তখন ৬-১-৯-৫।

এরপর সাইফউদ্দিন আর বল হাতে না ফিরলেও ভাগ্য বদল হয়নি দোলেশ্বরের। স্পিনাররাই সারেন বাকী কাজ। এক মাহমুদুল হাসান ছাড়া আর কোন ব্যাটসম্যানই দায়িত্ব নিতে পারেননি। ফলে ৮৬ রানেই গুটিয়ে যায় দোলেশ্বর। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ২৭ রানের হার না মানা ইনিংস খেলেন মাহমুদুল।

এর আগে টস হেরে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বড় বিপর্যয়ে পড়ে আবাহনী। দলীয় ১২ রানেই টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে ফেলে তারা। এরপর চতুর্থ উইকেটে ভারতীয় রিক্রুট ওয়াসিম জাফরকে নিয়ে দলের হাল ধরেন তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত। গড়েন ১৪৬ রানের দারুণ এক জুটি। তাতেই লড়াইয়ের পুঁজি পায় দলটি। তবে এক ওভার বাকী থাকতেই ২৫১ রান তুলে অলআউট হয়ে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা।

দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭১ রান করেন জাফর। ৯৭ বলে ৬টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৮৩ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ৭০ রানের ইনিংস খেলেন শান্ত। এছাড়া মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৪১ রান। শেষদিকে ২৪ রান করেছেন অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা। প্রাইম দোলেশ্বরের পক্ষে ৪৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পেয়েছেন আবু জায়েদ রাহী। ফরহাদ রেজা ও সাইফ হাসান নেন ২টি উইকেট।

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

আবাহনী লিমিটেড: ৪৯ ওভারে ২৫১ (জহুরুল ১, সৌম্য ২, মিরাজ ৫, জাফর ৭১, শান্ত ৭০, মিঠুন ৪১, মোসাদ্দেক ০, সাইফউদ্দিন ৯, মাশরাফি ২৪, সানজামুল ৩, অপু ০*; রাহী ৩/৪৭, রেজা ২/৪৩, সানি ১/৩৭, মাহমুদুল ০/৪৮, এনামুল ০/২৬, তাইবুর ০/১১, সাইফ ২/৭)।

প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব: ২৯.৪ ওভারে ৮৬ (ইমরান ০, সৈকত ১, ফরহাদ ১১, সাইফ ১৩, মার্শাল ১, মাহমুদুল ২৭*, তাইবুর ৫, রেজা ৩, এনামুল ১৪, সানি ২, রাহী ২; সাইফউদ্দিন ৫/৯, মাশরাফি ০/১৯, অপু ১/১৫, সৌম্য ১/১২, সানজামুল ২/২৩, মিরাজ ১/৭)।

ফলাফল: আবাহনী লিমিটেড ১৬৫ রানে জয়ী।

ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন (আবাহনী লিমিটেড)।

Comments

The Daily Star  | English

How frequent policy shifts deter firms from going public

If a company gets listed, it will enjoy tax benefits, and this is one of the major incentives for them to go public..However, the government’s frequent policy changes have disheartened listed firms many times, as they faced higher tax rates once they got listed..It gave a clear, nega

2h ago