নাঈমের সেঞ্চুরিতে মোহামেডানকে হারাল শেখ জামাল
জাতীয় দলের বিবেচনা থেকে বাদ পড়েছেন অনেক আগেই। তবে নিজের কাজটা বরাবরই ঠিকভাবে করে যাচ্ছেন নাঈম হাসান। এদিন মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবের বিপক্ষে করলেন দারুণ এক সেঞ্চুরি। আর তাতেই সুপার লিগে দারুণ জয় পেয়েছে তার দল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ। মোহামেডানকে ৪৬ রানে হারিয়ে শীর্ষস্থান আরও মজবুদ করল দলটি।
লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা ভালোই করেছিল মোহামেডান। লিটন দাস ও ইরফান শুক্কুরের ওপেনিং জুটিতে আসে ৪১ রান। তৃতীয় উইকেটে অধিনায়ক রকিবুল হাসানের সঙ্গে ইরফানের ৮১ রানের জুটিতে খুব ভালোভাবেই ম্যাচে ছিল তারা। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই আর কোন ব্যাটসম্যান সে অর্থে দায়িত্ব নিতে পারেননি। সেট হয়েও ফিরে গেলে ২২ বল বাকী থাকতেই অলআউট হয়ে যায় দলটি।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৩ রানের ইনিংস খেলেন শুক্কুর। ৯১ বলে ১০টি চারের সাহায্যে এ রান করেন তিনি। ৬২ বলে ৫৮ রানের ইনিংস খেলেছেন অধিনায়ক রকিবুল। এছাড়া সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে আসে ২৯ রান। রূপগঞ্জের পক্ষে ৫৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন শুভাশিস রায়। ২টি করে উইকেট পান মোহাম্মদ শহীদ ও মুক্তার আলী।
এর আগে সাভারের বিকেএসপিতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খারাপ করেনি রূপগঞ্জ। দলের বড় ইনিংস গড়তে দারুণ ভূমিকা রাখেন অধিনায়ক নাঈম ইসলাম। সেঞ্চুরি তো করেছেনই, মুমিনুল হক ও শাহারিয়ার নাফীসের সঙ্গে দুটি দারুণ জুটিও গড়েন। স্কোরবোর্ডে তৃতীয় উইকেটে মুমিনুলের সঙ্গে ১০৭ এবং নাফীসের সঙ্গে চতুর্থ উইকেটে ১২১ রান করেন তিনি। তাতেই নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৪ উইকেটে ৩১৩ রানের বড় সংগ্রহ পায় দলটি।
লিস্ট এ ক্যারিয়ারের দশম সেঞ্চুরি তুলে দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ১০৮ রান করেছেন অধিনায়ক নাঈম। সমান ১০৮ বলের ইনিংস ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা মেরেছেন তিনি। ৮৮ বলে ৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৭৮ রান করেছেন মুমিনুল। এছাড়া ৬১ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় ৬৮ রান করেন নাফীস। মোহামেডানের পক্ষে ৪৪ রানের খরচায় ২টি উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ: ৫০ ওভারে ৩১৩/৪ (মারুফ ১৪, মোহাম্মদ নাঈম ২৬, মমিনুল ৭৮, নাঈম ইসলাম ১০৮*, নাফীস ৬৮, ধাওয়ান ১০*; গাজী ১/৬৭, অনিক ১/৬৪, সাকলাইন ০/৪৮, আশরাফুল ২/৪৪, ভাটিয়া ০/৪৮, রাহাতুল ০৪১)।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৬.২ ওভারে ২৬৭ (লিটন ২৪, ইরফান ৭৩, অভিষেক ১৫, রকিবুল ৫৮, ভাটিয়া ১৮, গাজী ২৯, আশরাফুল ১১, রাহাতুল ১১, অনিক ১৫, সাকলাইন ৩; শুভাশিস ৩/৫৬, নাবিল ১/৪২, শহীদ ২/৪৩, ধাওয়ান ১/৬৫, মুক্তার ২/৫১, নাঈম ০/৭)।
ফলাফল: শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ৪৬ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: নাইম ইসলাম (শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব)।
Comments