সিউলে বর্ণিল সাজে নববর্ষ উদযাপন
দক্ষিণ কোরিয়ার রাজধানী সিউলের অন্যতম প্রাণকেন্দ্র সিটি হলে বর্ণাঢ্য আয়োজনে উদযাপিত হলো বাংলা নববর্ষ ১৪২৬। অনুষ্ঠানে কয়েকটি দেশের রাষ্ট্রদূতসহ বিভিন্ন দেশের কূটনীতিকবৃন্দ, শতাধিক কোরিয়ান নাগরিক, বাংলাদেশিদের সামাজিক সংগঠনের সদস্য এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রবাসীসহ প্রায় সাত শতাধিক অতিথি স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।
নববর্ষ উপলক্ষ্যে মিলনায়তন এবং এর আশে-পাশে ব্যানার, ফেস্টুন, বেলুন ইত্যাদি দিয়ে সুসজ্জিত হয়। এছাড়া বাংলাদেশি কারুপণ্য দিয়ে মিলনায়তনের ভেতরে কয়েকটি বুথ সাজানো হয় ।
বর্ষবরণের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিউল মেট্রোপলিটন গভর্নমেন্টের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ক দূত লিম গিয়ন-হিয়ং ।
দূতাবাস পরিবার কর্তৃক ‘এসো হে বৈশাখ’ পরিবেশনার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের শুরু হয়। গান শেষে রাষ্ট্রদূত আবিদা ইসলাম তার স্বাগত বক্তব্যে সবাইকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বলেন যে, বাঙালির বর্ষবরণের এই সর্বজনীন উৎসবে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকলের অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার পরিচায়ক। তিনি বিদেশি অতিথিদের বাংলা নববর্ষের পটভূমিসহ কোরিয়ার নববর্ষ সোললালের সাথে এর বিভিন্ন সাদৃশ্য তুলে ধরেন।
শুভেচ্ছা বক্তব্যে প্রধান অতিথি জনাব ইম গিয়ন-হিয়ং সবাইকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে বাঙালী সংস্কৃতির ভূয়সী প্রশংসা করেন। এছাড়া তিনি ভাষা, সংস্কৃতি ও স্বাধিকার আন্দোলনের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে সাদৃশ্যের বিষয়ে আলোকপাত করেন।
অনুষ্ঠানের অন্যতম আকর্ষণ ছিল মঙ্গল শোভাযাত্রা। বর্ণিল পোশাকে সজ্জিত হয়ে রঙ-বেরঙের মুখোশ, ব্যানার ও পতাকা নিয়ে প্রায় দুই শতাধিক প্রবাসী বাংলাদেশি এই শোভাযাত্রায় অংশগ্রহণ করেন।
পান্তা-ইলিশের সঙ্গে কয়েক পদের ভর্তা দিয়ে প্রায় সাত শতাধিক অতিথিকে আপ্যায়ন করানো হয়।
প্রেস বিজ্ঞপ্তি
Comments