দ্বন্দ্ব কি মিটলো এলআরবি’র?

উপমহাদেশের বিখ্যাত গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চুর হাত ধরে সৃষ্টি হওয়া (এলআরবি) বেশ সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
lrb
আইয়ুব বাচ্চুহীন ‘এলআরবি’। ছবি: সংগৃহীত

উপমহাদেশের বিখ্যাত গিটারিস্ট আইয়ুব বাচ্চুর হাত ধরে সৃষ্টি হওয়া (এলআরবি) বেশ সংকটের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।

৫ এপ্রিল চমক হিসেবে কণ্ঠশিল্পী বালামের নাম ঘোষণা করা হয় দলটির ভোকাল হিসেবে। তা নিয়ে অনেক আলোচনা ও সমালোচনা শুরু হয়। এরপর বালাম যোগদানের ১০ দিনের মাথায় বদলে যায় আইয়ুব বাচ্চুর সেই বিখ্যাত ‘এলআরবি’র নাম! বর্তমানের সদস্যরা এখন থেকে ‘বালাম অ্যান্ড দ্য লিগ্যাসি’ ব্যান্ডের সদস্য হিসেবে পরিচিত হবেন বলে জানান।

আইয়ুব বাচ্চুর ভক্তরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারও চাচ্ছিলেন না ‘এলআরবি’র অন্য সদস্যরা এই নামেই ব্যান্ডটির কার্যক্রম চালাতে থাকুক। আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের সঙ্গে এলআরবি ব্যান্ডের অন্য সদস্যদের মনমালিন্যই ছিল এইসব পরিবর্তনের আসল কারণ।

অবশেষে গতকাল মঙ্গলবার আইয়ুব বাচ্চুর একমাত্র ছেলে আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব জানান, এলআরবি নাম নিয়ে তার ও তার পরিবারের কোনও আপত্তি নেই।

উচ্চশিক্ষার জন্য আহনাফ তাজোয়ার আইয়ুব এখন কানাডায় অবস্থান করছেন। ইউনিভার্সিটি অব ব্রিটিশ কলাম্বিয়ায় পড়াশোনা করছেন তিনি।

আজ (১৭ এপ্রিল) দুপুরে এলআরবি ব্যান্ড ম্যানেজার শামীম আহমেদ দ্য ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, “এলআরবির নাম পরিবর্তন হয়ে ‘বালাম অ্যান্ড দ্য লিগ্যাসি’ হচ্ছে না। আমরা এলআরবি নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যাবো। যে সমস্যাগুলো হয়েছিল সেটি ঠিক হয়ে গেছে। এলআরবি নাম নিয়ে বাচ্চু ভাইয়ের পরিবারের কোনো আপত্তি নেই জেনে খুব খুশি হয়েছি। আমরা শিগগিরই সবাই মিলে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করবো বিষয়টি।”

শামীম আরও বলেন, “বাচ্চু ভাইয়ের পরিবারের মত নিয়েই এলআরবি পরিবার এগিয়ে যাচ্ছে সামনে। তাদের প্রতি আমাদের ভালোবাসা আছে এবং সব সময় থাকবে।”

এলআরবি’র বর্তমান লাইন আপ- শামীম-ব্যান্ড ম্যানেজার, বালাম-ভোকাল, মাসুদ-গিটার, স্বপন-বেস আর রোমেল-ড্রামস।

আরও পড়ুন:

বদলে গেলো এলআরবি

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

8h ago