আবারো মোহামেডানকে হারাল আবাহনী

মাঠে দুই দলের লড়াইয়ের আমেজটা অনেক আগেই শেষ। টিকে আছে কেবল ঐতিহ্য। আর তাতে আবারো জয় পেয়েছে আবাহনী লিমিটেড। গ্রুপ পর্বে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাবকে উড়িয়ে দিয়েছিল তারা। এবার সুপার লিগের লড়াইয়ে মোহামেডানকে ৪৫ রানে হারিয়ে শিরোপা লড়াইয়ে দারুণভাবে টিকে রইল দলটি। ২২ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকা লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের চেয়ে ২ পয়েন্ট পিছিয়ে আছে আবাহনী।
সাভারের বিকেএসপিতে টস হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি আবাহনীর। দলীয় ৩২ রানেই দুই ওপেনারকে হারায় তারা। তৃতীয় উইকেটে ওয়াসিম জাফরের সঙ্গে ৭১ রানের জুটি গড়েন সাব্বির রহমান। এরপর দ্রুত এ দুই ব্যাটসম্যান ফিরে গেলে পঞ্চম উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে দলের হাল ধরেন মোহাম্মদ মিঠুন। গড়েন ৯১ রানের জুটি। তবে আবাহনীর বড় সংগ্রহের ভিতটা সপ্তম উইকেটে গড়ে দেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত ও মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। স্কোরবোর্ডে ১০২ রান যোগ করেন এ দুই ব্যাটসম্যান।
৫৩ বলে ৫টি চার ও ২টি ছক্কায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৪ রান করেন সাব্বির। মিঠুন ৫৬ রান করেছেন ৫২ বল মোকাবেলা করে। ৫৭ বলে মোসাদ্দেকের ব্যাট থেকে আসে ৫৪ রান। সাইফউদ্দিন খেলেন ৪১ রানের ইনিংস। মোহামেডানের পক্ষে ৬৩ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়েছেন শফিউল ইসলাম। রাহাতুল ফেরদৌস পেয়েছেন ২টি উইকেট।
৩০৫ রানের বিশাল লক্ষ্য তারায় মোহামেডানের শুরুটা হয় ভয়াবহ। ২০ রানেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে ফেলে দলটি। ৬১ রানে পরে চতুর্থ উইকেট। এরপর রকিবুল হাসানের সঙ্গে মোহাম্মদ আশরাফুলের জুটিতে দারুণ প্রতিরোধ গড়েছিল তারা। ১২৮ রানের জুটি গড়েন এ দুই ব্যাটসম্যান। কিন্তু এ জুটি ভাঙতেই আবার নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ২১ বল বাকি থাকতেই ২৫৯ রানে গুটিয়ে যায় দলটি।
৯৬ রানের দারুণ ইনিংস খেলেছিলেন রকিবুল। ৭৯ বলে ১০টি চার ও ৩টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। আসরে এ নিয়ে অষ্টমবার পঞ্চাশের বেশি রান করলেন অধিনায়ক। এদিন রান পেয়েছেন আশরাফুলও। তবে রানের গতি বাড়াতে পারেননি। ৮৫ বলে ৬টি চারের সাহায্যে করেন ৬৮ রান। এছাড়া সোহাগ গাজীর ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান।
আবাহনীর পক্ষে এদিন ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন অধিনায়ক মোসাদ্দেক ও মাশরাফি বিন মুর্তজা। ইরফান শুক্কুরকে বোল্ড করে এদিন লিস্ট এ ক্যারিয়ারে ৪০০তম উইকেট নেওয়ার মাইলফলক স্পর্শ করেন তিনি। ২টি উইকেট পেয়েছেন সৌম্য সরকার।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
আবাহনী লিমিটেড: ৫০ ওভারে ৩০৪/৭ (জহুরুল ৪, সৌম্য ১৭, সাব্বির ৬৪, জাফর ১৯, শান্ত ৩৬, মিঠুন ৫৬, মোসাদ্দেক ৫৪, সাইফউদ্দিন ৪১; শফিউল ৩/৬৩, অনিক ০/৬০, সাকলাইন ০/৩৮, রাহাতুল ২/৪১, গাজী ১/৫৯, আশরাফুল ০/৪২)।
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব: ৪৬.৩ ওভারে ২৫৯ (মজিদ ০, ইরফান ৮, অভিষেক ৪, রকিবুল ৯৬, তুষার ১৬, আশরাফুল ৬৮, গাজী ২৮, রাহাতুল ৯, শফিউল ৩, অনিক ৮, সাকলাইন ৫; মোসাদ্দেক ৩/৩৬, মাশরাফি ৩/৪০, নাজমুল ১/৩৬, সাইফউদ্দিন ১/৪৬, সানজামুল ০/৩৬, সৌম্য ২/৪০, সাব্বির ০/২১)।
ফলাফল: আবাহনী লিমিটেড ৪৫ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত (আবাহনী লিমিটেড)।
Comments