বিশ্বকাপে সেরা পাঁচে থাকতে চান রুবেল

২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাঁপিয়ে দেওয়া এক স্পেল করে বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলেন রুবেল হোসেন। পুরো টুর্নামেন্টেই তার বোলিংয়ে দেখা গেছে ক্ষীপ্র তেজ। টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে এবার সেই তেজ আরও বাড়াতে চান তিনি। উইকেট শিকারে থাকতে চান সেরা পাঁচে।
রুবেল হোসেন। ছবি : ফিরোজ আহমেদ।

২০১৫ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে কাঁপিয়ে দেওয়া এক স্পেল করে বাংলাদেশকে জিতিয়েছিলেন রুবেল হোসেন। পুরো টুর্নামেন্টেই তার বোলিংয়ে দেখা গেছে ক্ষীপ্র তেজ। টানা তৃতীয় বিশ্বকাপে এবার সেই তেজ আরও বাড়াতে চান তিনি। উইকেট শিকারে থাকতে চান সেরা পাঁচে।

বিশ্বকাপ দলে অবধারিতভাবে থাকলেও রুবেল হালকা চোট নিয়ে আছেন বাইরে। সেরা ছন্দে ফিরতে চলছে পুনর্বাসন প্রক্রিয়া। তারমধ্যেই নিজের লক্ষ্য ঠিক করে এগুচ্ছেন তিনি।

বাংলাদেশের পেসারদের মধ্যে সবচেয়ে জোরে বল করেন তিনি। এই সামর্থ্যকেও পুঁজি করে বিশ্বকাপে তেতে উঠার আশা দেখছেন রুবেল, ‘ওই ধরণের কন্ডিশনে জোরে বোলিং করা একটি ফ্যাক্ট। কারণ জোরে বোলার দরকার হয়। তবে আমি নিজের কাছে নিজেই চ্যালেঞ্জ হিসেবে নেই সবসময়। আমি যখনই সুযোগ পাবো ম্যাচে তখন আপ্রাণ চেষ্টা করি ভালো খেলার জন্য। ’

শর্ট বল করতে পারেন, জোরে বল করতে পারেন আবার বল পুরনো হলে রিভার্স স্যুয়িংও করাতে পারেন। এসব কিছু ঠিকঠাক করতে পারলে উইকেট শিকারে সেরা পাঁচের মধ্যে নিজেকে দেখছেন রুবেল, ‘আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অনেক দিন থেকে খেলছি। অবশ্যই আমার স্বপ্ন থাকবে বিশ্বকাপে পাঁচজনের মধ্যে থাকতে পারি। সে ধরণের স্বপ্ন অবশসই আমার আছে। ইনশাল্লাহ দেখা যাক। আর আমাদের নয়টি খেলা আছে। সুতরাং আমাদের সুযোগটি বেশি। কারণ বড় বড় দলগুলো সবার সাথে আমাদের খেলা আছে। আমরা যদি তাদের বিপক্ষে জিততে পারি অথবা সেভাবে খেলতে পারি তাহলে ভালো কিছু হবে।’

বিশ্বকাপে এই পর্যন্ত ১২ ম্যাচ খেলে ৩৯.৫৩ গড়ে ১৩ উইকেট আছে রুবেলের। রেকর্ড খুব আহামরি নয়। তবে গত বিশ্বকাপে ম্যাচ প্রভাবক ছিল তার কিছু স্পেল। এবারের বিশ্বকাপকে আরও স্মরণীয় করার ইচ্ছা তার, ‘মানুষের জীবনে ভালো এবং খারাপ সময় থাকে। তবে আলহামদুলিল্লাহ এই বিশ্বকাপটি যেন স্মরণীয় হয়ে থাকে সেটাই আমার চাওয়া। এটাই আরকি, আমি আপ্রাণ চেষ্টা করবো যেন বিশ্বকাপে যখন ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবো তখন আপ্রাণ চেষ্টা থাকবে।’

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

5h ago