স্কোয়াড নিয়ে এত আলোচনায় নেতিবাচক দিক দেখছেন তামিম

অমুকের বদলে তমুক থাকলে ভালো হতো। কিংবা তমুককে কেন রাখা হয়নি। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড দেওয়ার পরই ক্রিকেট বিশ্লেষক, সমর্থকদের এমন আলোচনা তুঙ্গে। তবে চূড়ান্ত দল দেওয়ার পর এসব আলোচনার আর কোন মানে দেখেন না তামিম ইকবাল। বরং স্কোয়াড নিয়ে প্রশ্ন তুলার নেতিবাচক দিক দেখছেন তিনি।
Tamim Iqbal
ফাইল ছবি: বিসিবি

অমুকের বদলে তমুক থাকলে ভালো হতো। কিংবা তমুককে কেন রাখা হয়নি। বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াড দেওয়ার পরই ক্রিকেট বিশ্লেষক, সমর্থকদের এমন আলোচনা তুঙ্গে। তবে চূড়ান্ত দল দেওয়ার পর এসব আলোচনার আর কোন মানে দেখেন না তামিম ইকবাল। বরং স্কোয়াড নিয়ে প্রশ্ন তুলার নেতিবাচক দিক দেখছেন তিনি।

গতকাল (মঙ্গলবার) বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের দল দিয়েছেন নির্বাচকরা। অনুমিতভাবে স্কোয়াডে বড় কোন চমক না থাকলেও তাসকিন আহমেদের জায়গা না পাওয়া, ইমরুল কায়েসের না থাকা ঘুরছে আলোচনায়।

তবে তামিমের মতে  এসব আলোচনা না করে ঘোষিত স্কোয়াডকেই সবার বিনা প্রশ্নে সমর্থন করা উচিত,  একটি পাঁচ তারকা হোটেলে এক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে বাংলাদেশের ব্যাটিংয়ের অন্যতম ভরসার অভিমত, ‘আমার কাছে মনে হয় যে স্কোয়াডই দেয়া হোক না কেন, যে খেলোয়াড়দেরই নেয়া হোক না কেন, সবারই কিছু না কিছু যদি কিন্তু থাকবে। কিছু পছন্দ অপছন্দ থাকবে। এটাই নিয়ম। স্কোয়াড তৈরি করা খুব সহজ জিনিস না। অবশ্যই এখানে কিছু খেলোয়াড় আছে যারা খুব ভালো পারফর্ম করেছে কিন্তু সুযোগ হয়নি। আবার এমনো খেলোয়াড় আছে যারা খুব ভালো করেছে এবং তাদের সুযোগও হয়েছে। ’

‘আমার মনে হয় এখন কে থাকা উচিত ছিল বা কে থাকলে ভালো হত, এই আলোচনা না করে যে ১৫ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে তাদের পুরোপুরি সমর্থন করা। দিন শেষে এটা বাংলাদেশের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়েছে। অমুকের জায়গায় অমুক থাকলে ভালো হত, এমন কিছু করলে হবে কি, যারা সুযোগ পেয়েছে তারা মন ছোট করবে। আমরা চার বছর অপেক্ষা করেছি বিশ্বকাপের জন্য। এখন মন ছোট না করে তাদের আত্মবিশ্বাস বৃদ্ধি করা উচিত।’

বিশ্বকাপের আগে সবার আত্মবিশ্বাস তরতাজা রাখতে হবে। তাই ক্রিকেটীয় সেকিলের পাশাপাশি বিশ্বকাপের আগে মানসিক প্রস্তুতিতে বড় জোর তামামের, ‘মানসিকভাবে প্রস্তুত হওয়া বেশি গুরুত্বপূর্ণ। অনেকসময় হবে কি, আপনি ৫০দিন অনুশীলন করেছেন, কিন্তু আপনি মানসিকভাবে প্রস্তুত না, তাহলে ওই ৫০ দিন আপনাকে খুব বেশি সাহায্য করবে না।’

২০০৭ সালে নিজের প্রথম বিশ্বকাপে আলো ছড়িয়েছিলেন তামিম। হয়েছিলেন বড় তারকা। এবার প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলবেন মোস্তাফিজুর রহমান, লিটন দাস, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ মিঠুন, মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন ও আবু জায়েদ। জীবনের রোমাঞ্চকর টুর্নামেন্টে এই সাতজনকেই নিয়ে বড় আশা তামিমের, ‘বিশ্বকাপ এমন একটা মঞ্চ, সবাই জানি যে ক্রিকেট বিশ্বে এটা সবচেয়ে বড় মঞ্চ। এই একটা টুর্নামেন্ট যেখানে তারকারা জন্ম নেয়। বিশ্বকাপে ভালো করলে আপনি এক রাতেই হয়তো সুপার স্টার বনে যাবেন। এটা সব তরুণ ক্রিকেটারের জন্যই বড় সুযোগ, তারা কতোটা ভালো সেটা দেখানোর জন্য। অবশ্যই আমাদের দলে এমন বেশ কিছু খেলোয়াড় আছে যারা তাদের প্রতিভা দেখাবে, আর এখানে প্রতিভা দেখানোর জন্য বিশ্বকাপের চেয়ে ভালো মঞ্চ হতে পারে না।

 

Comments