'নরক থেকে হঠাৎ স্বর্গে'
ম্যাচের শেষ দিকে রহিম স্টার্লিংয়ের নিখুঁত শটে বল জালে। তাতে টটেনহ্যাম হটস্পার্সের সব খেলোয়াড়দের হাসি বিষাদে পরিণত। কারো চোখে পানি। কেউবা রাগে নিজের চুলও ছিঁড়তে চাইছেন। কি হয়ে গেল? যেন স্বর্গের দ্বার থেকে কেউ ধাক্কা মেরে ফেলে দিল তাদের। কিন্তু হঠাৎই রেফারি দিলেন অফসাইডের সিদ্ধান্ত। মুহূর্তেই বদলে গেল সব। আর এ যেন নরক থেকে স্বর্গে ঢোকার অনুভূতি। অনুভূতি প্রকাশ করে এমনটাই বলেছেন টটেনহ্যামের বেলজিয়ান তারকা টবি অল্ডারওয়েরেল্ড।
প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছে টটেনহ্যাম। স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বাসটা তাদের একটু বেশি। যদিও অর্ধেক কাজ আগেই সেরে রেখেছিলেন। ঘরের মাঠে শক্তিশালী সিটিকে ১-০ ব্যবধানে হারিয়ে। যদিও ইতিহাদে ৩-৪ গোলের ব্যবধানে হারতে হয় তাদের। দুই লেগ মিলিয়ে ব্যবধান ৪-৪। অ্যাওয়ে গোলের সুবাদে শেষ চারেই তারাই।
ম্যাচের বিতর্কিত গোলটি আসে অল্ডারওয়েরেল্ডের হেড থেকেই। কর্নার থেকে উড়ে আসা বলে ঝাঁপিয়ে হেড নিয়েছিলেন তিনি। জালে যাওয়ার আগে ফের্নান্দো লোরেন্তের গায়ে লেগে দিক বদলে যায়। ক্যামেরার নানা অ্যাঙ্গেলে অবশ্য ফলাফল ভিন্ন। তবে ভাগ্য সঙ্গেই ছিল, সিদ্ধান্ত যায় নিজেদের পক্ষে। সেই গোলেই স্বপ্ন দেখে তারা। কিন্তু স্টার্লিং শেষ দিকে তাদের হৃৎস্পন্দন থামিয়ে দিয়েছিলেন।
'এটা যেন নরক থেকে স্বর্গে ঢোকার মতো। আমি ভাবছিলাম... তখন ওই মুহূর্তে নিশ্চিত হতে পারছিলাম না। আমার মনে হয়েছিল যেন আমাদের ছুঁড়ে ফেলা হলো। আমরা তখন কিছুটা রাগান্বিতও ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ দেখি রেফারি বলছে এটা অফসাইড। এটা অবিশ্বাস্য। আমি মাঠে তখন নিজেই বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। একজন নিরপেক্ষ সমর্থকদের জন্য এটা ছিল অবিশ্বাস্য রাত।' - সে ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে ম্যাচ শেষে এমনটাই বলেন অল্ডারওয়েরেল্ড।
শুধু ওই ঘটনাই নয়, পুরো ম্যাচেই ছিল নাটকীয়তা। ম্যাচের ১১ মিনিটেই চার গোল। একবার সিটি এগিয়ে গেলে পরে আগায় টটেনহ্যাম। শেষ পর্যন্ত হারে তারা। কিন্তু দুই লেগ মিলিয়ে হার পরিণত হয় জয়ে। ব্যবধান ৪-৪। অ্যাওয়ে গোলে শেষ চারে স্পাররাই। নতুন ইতিহাস গড়ে দলটি। অল্ডারওয়েরেল্ডের কণ্ঠে ঝরে তৃপ্তি, 'স্পারদের জন্য এটা ঐতিহাসিক দিন। সিটির মতো দলকে হারিয়ে এগিয়ে যাওয়া অবিশ্বাস্য। আমার মনে হয় আমরা নিজেদের নিয়ে গর্ব করতে পারি।'
Comments