ফিনিশিংয়ে দুর্বলতায় বড় জয় পায়নি বাংলাদেশ

বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে শুরুটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। আরব আমিরাতকে ২-০ গোলে হারিয়েছে মেয়েরা। আসরের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে দারুণ খুশী বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন। কিন্তু ব্যবধানটা হতে পারতো আরও বড়। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যবধান না বাড়ার কারণ ফিনিসিংয়ের দুর্বলতাকেই বড় করে দেখছেন কোচ।
ছবি: ফিরোজ আহমেদ

বঙ্গমাতা অনূর্ধ্ব-১৯ আন্তর্জাতিক গোল্ডকাপে শুরুটা ভালোই হয়েছে বাংলাদেশের। আরব আমিরাতকে ২-০ গোলে হারিয়েছে মেয়েরা। আসরের প্রথম ম্যাচে জয় পেয়ে দারুণ খুশী বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটন। কিন্তু ব্যবধানটা হতে পারতো আরও বড়। ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতা ছিল চোখে পড়ার মতো। ব্যবধান না বাড়ার কারণ ফিনিশিংয়ের দুর্বলতাকেই বড় করে দেখছেন কোচ।

শুরু থেকেই ম্যাচে পরিষ্কার প্রাধান্য ছিল বাংলাদেশের। একের পর এক আক্রমণ। ৩৩টি শট। যার মধ্যে ২২টি অন টার্গেট। কিন্তু গোল মাত্র ২টি। যে পরিমাণ গোল মিস করেছেন তার অর্ধেকও যদি হতো তাহলে হ্যাটট্রিক পেতে পারতেন দুই-তিন জন খেলোয়াড়। কিন্তু অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে খেই হারিয়ে ফেলার পুরনো রোগেই আক্রান্ত ছিলেন মেয়েরা।

হয়তো ভাগ্য সঙ্গে ছিল না বাংলাদেশের। যদিও ভাগ্যকে দোষ দিতে নারাজ রব্বানি। ফিনিশিংয়ের ব্যর্থতাকেই বড় করে দেখছেন, ‘না, এটা দুর্ভাগ্য না। ফিনিশিংয়ে… স্বপ্না আরও গোল পেতে পারতো। সে যদি আরও মনযোগী হতো, তাহলে তার হ্যাটট্রিক হতো। আমি মনে করি মনোযোগ আরও বাড়াতে হবে। ফিনিশিং আরও ভালোভাবে করতে হবে। তারা যথেষ্ট ওপেন করেছে। ডমিনেট করেছে। ম্যাচের একটাই দুর্বলতা ফিনিসিং।’

তবে মেয়েদের খেলায় খুব একটা অসন্তুষ্ট নন রব্বানি। তার প্রথম লক্ষ্য ছিল জয়। সেটা পেয়েছেন। পেয়েছেন মেয়েদের আগ্রাসী ভূমিকাও। বাংলাদেশ কোচের ভাষায়, ‘আমাদের লক্ষ্য ছিল প্রথমে ম্যাচ জয়। এবং মেয়েরা ভালো ফুটবল খেলবে। দর্শক উপভোগ করবে। আনন্দ পাবো। আমার মনে হয় ভালো খেলেছি। ৯০ মিনিটই মেয়েরা খেলায় ছিল। আমাদের কৌশল ছিল যে আমরা আক্রমণাত্মক খেলব এবং সুযোগ তৈরি করব। এখন সুযোগ তৈরি হয়েছে কিন্তু মিস হয়েছে। এখন এটা নিয়ে চিন্তা ভাবনা করতে হবে এবং মেয়েদের সঙ্গে কথা বলতে হবে। যাতে এ জিনিস না হয়।’

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পর্যায়ে এবারই প্রথম আমিরাতের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। তবে এর আগে অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছে তারা। তিন ম্যাচে তাদের গোল দিয়েছিল ১৭টি। অথচ এদিন মাত্র দুটি। অনূর্ধ্ব-১৬’এর প্রায় সে দলই এখন খেলছে অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে। দুই দলেই একই অবস্থা। কিন্তু তাতেও হতাশ নন রব্বানি। পরবর্তী ম্যাচেই সমস্যা কাটিয়ে ওঠার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন, ‘এখন আমরা পরের ম্যাচের নজর দিচ্ছি। তিন দিন সুযোগ পাচ্ছি। এর মধ্যেই কাটিয়ে উঠতে হবে।’

Comments