মেয়েরা স্বার্থপর ফুটবল খেলেনি দাবী মৌসুমির

ম্যাচের ২০তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় আরব আমিরাতের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলমুখে দাঁড়িয়ে নিরীহ শটে গোলরক্ষকের হাতে বল তুলে দিলেন সামসুন্নাহার। অথচ অপর পাশে একেবারে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে স্বপ্না, মৌসুমি ও কৃষ্ণা। তাদের যে কোন একজনকে দিলেই গোল হতো নিশ্চিত। এটাই ছিল পুরো ম্যাচের চিত্র। যেখানে কোন খেলোয়াড় গোল মুখে বল পেলে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা কোন খেলোয়াড়কেই পাস দেননি তারা।
ছবি: সংগ্রহীত

ম্যাচের ২০তম মিনিটে একক প্রচেষ্টায় আরব আমিরাতের তিন ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে গোলমুখে দাঁড়িয়ে নিরীহ শটে গোলরক্ষকের হাতে বল তুলে দিলেন সামসুন্নাহার। অথচ অপর পাশে একেবারে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে স্বপ্না, মৌসুমি ও কৃষ্ণা। তাদের যে কোন একজনকে দিলেই গোল হতো নিশ্চিত। এটাই ছিল পুরো ম্যাচের আবহ চিত্র। যেখানে গোল মুখে বল পেলে ফাঁকায় দাঁড়িয়ে থাকা কাউকেই পাস দেননি কোন খেলোয়াড়।

পুরো ম্যাচে একচ্ছত্র দাপট দেখিয়েই জয় পেয়েছে মাত্র ২-০ গোলের ব্যবধানে। ব্যবধানটা ১০-০ হলেও আফসোস নিয়ে মাঠ ছাড়ত বাংলাদেশ। কিন্তু বড় না হওয়ায় প্রশ্ন উঠেছে অনেক। স্বার্থপর ফুটবল খেলাতেই এমনটা হয়েছে বলেই ধারণা করছেন অনেকে। তবে দলের অধিনায়ক মিশরাত জাহান মৌসুমি অবশ্য এমন গুঞ্জন উড়িয়ে দিলেন। সরাসরি বললেন দলের কেউ স্বার্থপর ফুটবল খেলেনি। ফিনিশিংয়ে দুর্বলতার কারণেই ব্যবধানটা বড় হয়নি।

স্বার্থপর ফুটবল না খেলার জন্য নিজেদের মধ্যে ওয়াদাবদ্ধ হয়েই মাঠে নামেন বলেও জানান মৌসুমি, ‘আমরা সবাই মাঠের নামার আগে বলি স্বার্থপর খেলা খেলব না। এটা আমরা ওয়াদা করে নামি। হয়তো নিজেদের সুযোগ ছিল বলেই তারা নিজেরা চেষ্টা করেছে। এমনটা যে তারা স্বার্থপরের মতো খেলেছে। এটা কখনোই বলব না। মেয়েদের সবসময়ই বলি, আগে আমরা দলের জন্য গোল দিব। যদি স্কোর লাইন বেশি থাকে তবে তুমি সুযোগ নিতে পার।’

ম্যাচের ৭২ শতাংশ বল ছিল বাংলাদেশের পায়ে। শট মোট ৩৩টি। যার মধ্যে লক্ষ্যে ছিল ২২টি। তারপরও স্কোরলাইনের দুর্বল অবস্থার জন্য ফিনিশিং দুর্বলতাকেই তুলে ধরলেন অধিনায়ক। এর জন্য দুঃখপ্রকাশ করেন তিনি, ‘সুযোগ আমরা তৈরি করেছি অনেক কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। হলে হয়তো ব্যবধানটা আরও বড় হতো। সাতটার চেয়েও বেশি মিস করেছি, এটা আমাদের ভুল। এ জন্য আমরা দুঃখিত। তবে আমরা চেষ্টা করেছি গতবারের চেয়ে আরও বেশি গোল দিতে। কিন্তু হয়নি। ফিনিসিংয়ে আমাদের মধ্যে ভুল ত্রুটি ছিল যার জন্য পারিনি।’

অনূর্ধ্ব-১৯ দলের পর্যায়ে গতকালই প্রথম আমিরাতের মুখোমুখি হয় বাংলাদেশ। কিন্তু এর আগে অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে তিনটি ম্যাচ খেলেছে তারা। সেই অনূর্ধ্ব-১৬ দলের খেলোয়াড়রা বড় হয়ে এখন খেলছেন অনূর্ধ্ব-১৯ পর্যায়ে। এর আগে অনূর্ধ্ব-১৬ পর্যায়ে যাদের তিন ম্যাচে গোল দিয়েছিল ১৭টি এবার তাদের বিপক্ষে পেলেন মাত্র দুইটি গোল।

Comments