পরীক্ষা-নিরীক্ষা নয়, ম্যাচ জিততে চায় বাংলাদেশ
সেমি-ফাইনাল এর মধ্যেই নিশ্চিত। আগামীকাল শুক্রবার কিরগিজস্তান ও বাংলাদেশের লড়াইটিতে তাই চাইলেই নিজেদের রিজার্ভ বেঞ্চের শক্তি যাচাই করে দেখতে পারেন কোচরা। তবে এমন কোন চিন্তা নেই বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানি ছোটনের। মূল দলকে খেলিয়ে ম্যাচ জেতাই লক্ষ্য তার। গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেষ চারে খেলতে চায় তার দল।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ২-০ গোলে জিতে সেমিতে এক পা দিয়ে রেখেছিল বাংলাদেশ। আগের দিন কিরগিজদের বিপক্ষে আমিরাতের হার নিশ্চিত হয়ে যায় শেষ চার। নিশ্চিত হয় কিরগিজস্তানেরও। এখন দুই দলের লক্ষ্য গ্রুপের শীর্ষস্থান। তাতে সেমিফাইনালে এ গ্রুপের শক্তিশালী দলকে এড়ানো যাবে। আর সে সুবিধা নিতে চান ছোটন।
সংবাদ সম্মেলনে এদিন ছোটন বললেন, ‘যেহেতু আমরা সেমিফাইনালে উঠে গেছি, আমাদের যে কৌশল থাকে আমরা ভালো ফুটবল খেলার চেষ্টা করব। এবং গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হওয়ার জন্য চেষ্টা করব। আপাতত আমরা কোন পরীক্ষায় যাচ্ছি না। মূল দলই খেলবে। এরপর দেখা যাবে কি হয়।’
আমিরাতের বিপক্ষে জয় পেলেও মৌসুমিদের পারফরম্যান্স মন ভরাতে পারেনি। ৩৩টি শট নিয়ে মাত্র ২টি গোল। গোলরক্ষককে একা পেয়ে এমনকি খালি বারেও লক্ষ্যভেদ করতে ব্যর্থ হন ফরোয়ার্ডরা। তবে কিরগিজদের বিপক্ষে এ সমস্যা থেকে বেরিয়ে আসবে বলে মনে করেন ছোটন, ‘আমাদের অ্যাটাকিং থার্ড পর্যন্ত সব সুন্দর ভাবে ছিল কিন্তু ফিনিশিংয়ে ওরা তাড়াহুড়া করেছে। বোঝাপড়ার একটু ঘাটতি ছিল, সেটা নিয়ে আমরা গত তিনদিন আলোচনা করেছি। হাতে কলমে এবং তাত্ত্বিক দুইভাবেই কাজ হয়েছে। মেয়েরাও এটা বুঝতে পেরেছে। আশা করি কালকের ম্যাচে ওরা আরও ভালো করবে।’
এছাড়া মাথায় থাকবে কিরগিজদের শারীরিক সামর্থ্যও। অধিকাংশ খেলোয়াড়ই বেশ লম্বা। টেকনিক্যালিও বেশ এগিয়ে। এ দিক থেকে দুশ্চিন্তা থাকছেই। তবে কন্ডিশনে এখনও মানিয়ে নিতে পারেনি তারা। আগের ম্যাচে প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করতে দেখা গিয়েছে তাদের। সে সুবিধাটা আদায় করে নেওয়ার ইঙ্গিত দিলেন ছোটন, ‘কিরগিজস্তানের দুর্বলতা... এখানে যেহেতু গরম দ্বিতীয়ার্ধে ওরা (আমিরাত) সুবিধাটা কিন্তু নিয়ে আদায় করে নিয়েছে।’
আর শারীরিক দিকের ব্যাপারটাও মাথায় রয়েছে বাংলাদেশ কোচের, ‘ফিজিক্যালি ওরা খুবই ভালো। টেকনিক্যালিও আমার কাছে ভালো মনে হয়েছে।টেকনিক্যালি ও ফিজিক্যালি আমাদের মেয়েরাও ভালো। তবে উচ্চতা একটা সমস্যাই। এটা থাকবেই। বাস্তবতা মেনে নিতে হবে। আমরা গতবার অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে যখন খেলেছি থাইল্যান্ডে যখন গিয়েছি। দক্ষিণ কোরিয়া, অস্ট্রেলিয়ার সবারই উচ্চতাই বেশি ছিল। আমরা মেয়েদের রপ্ত করার চেষ্টা করেছি ওদের সঙ্গে শারীরিক সংঘর্ষে যতো কম যাওয়া যায়।’
Comments