হামলার হোতা হাশিম নিহত, আইএস সংশ্লিষ্ট ১৪০ জনকে খুঁজছে পুলিশ: সিরিসেনা

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের সকালে চার্চ ও হোটেলে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার প্রধান সন্দেহভাজন জাহরান হাশিম ঘটনার দিনই নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।
Sri Lanka Mosque
২৬ এপ্রিল ২০১৯, শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের সকালে চার্চ ও হোটেলে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার পাঁচদিন পর কলম্বোর একটি মসজিদের সামনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর এক সদস্যকে দাঁড়িয়ে থেকে জুমার নামাজে আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তা দিতে দেখা যায়। ছবি: রয়টার্স

শ্রীলঙ্কায় ইস্টার সানডের সকালে চার্চ ও হোটেলে ভয়াবহ সিরিজ বোমা হামলার প্রধান সন্দেহভাজন জাহরান হাশিম ঘটনার দিনই নিহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছেন দেশটির রাষ্ট্রপতি মাইথ্রিপালা সিরিসেনা।

বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে জানানো হয়, জাহরান হাশিমকে স্থানীয় উগ্রপন্থী ইসলামি গোষ্ঠী ন্যাশনাল তৌহিদ জামায়াতের (এনটিজে) নেতা হিসেবে উল্লেখ করে সিরিসেনা বলেন, “দেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আমাকে জানিয়েছে যে ইস্টার সানডেতে কলম্বোর বিলাসবহুল শাংরি-লা হোটেলে হামলার সময় জাহরান হাশিম নিহত হন।”

তিনি বলেন, “ইলহাম নামের অপর একজন আত্মঘাতী হামলাকারীকে সঙ্গে নিয়ে ওই হোটেলে হামলা চালান হাশিম।”

ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা সিসিটিভি ফুটেজের ভিত্তিতে সামরিক গোয়েন্দারা তাকে এসব তথ্য দিয়েছেন বলে জানান সিরিসেনা। 

গত রোববারের ওই সিরিজ বোমা হামলার তিনদিন পর আইএস এর দায় স্বীকার করে যে ভিডিও প্রকাশ করে তাতে হাশিমকে দেখা গেলেও, হামলার পর তার অবস্থান সম্পর্কে কিছু জানাতে পারেনি শ্রীলঙ্কার কর্তৃপক্ষ।

সিরিসেনা আরও বলেছেন, ইস্টার সানডের সকালে চার্চ ও হোটেলে হামলার ঘটনায় তথাকথিত মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন ইসলামিক স্টেটের (আইএস) সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে ১৪০ জনকে খুঁজছে পুলিশ।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, আজ (২৬ এপ্রিল) সাংবাদিকদের সিরিসেনা জানান, শ্রীলঙ্কার কিছু তরুণ ২০১৩ সাল থেকেই আইএসের সঙ্গে যুক্ত ছিলো এবং দেশটির শীর্ষ পর্যায়ের প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা ও পুলিশ প্রধানেরা আসন্ন হামলার বিষয়ে তাকে কোনো তথ্য দেননি।

এছাড়াও, তামিল বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সঙ্গে এক দশক ধরে গৃহযুদ্ধ চলাকালীন যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে সামরিক কর্মকর্তাদের বিচারের প্রতি মনোনিবেশ করার মাধ্যমে দেশের গোয়েন্দা ব্যবস্থাকে দুর্বল করার জন্য প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহের সরকারকেও দায়ী করেছেন তিনি।

আরও পড়ুন:

শ্রীলঙ্কায় মসজিদ, গির্জা এড়িয়ে চলার অনুরোধ

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

6h ago