চলে গেলেন সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ আজ (২৭ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর।
Mahfuz Ullah
সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ। ছবি: ফেসবুক থেকে নেওয়া

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক মাহফুজউল্লাহ আজ (২৭ এপ্রিল) সকালে থাইল্যান্ডের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৯ বছর।

এক ফেসবুক পোস্টে তার মেয়ে নুসরাত হুমায়রা জানান, আজ বেলা ১১টা ৫ মিনিটের দিকে ব্যাংককের বামরুনগ্রাদ আন্তর্জাতিক হাসপাতালে লাইফ সাপোর্টে থাকাবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন এই সাংবাদিক।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বরাত দিয়ে দ্য ডেইলি স্টারকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

এই সাংবাদিক হৃদরোগ, কিডনি ও ফুসফুসের রোগে ভুগছিলেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ১০ এপ্রিল ব্যাংকক নেওয়া হয়েছিল।

বার্তা সংস্থা ইউএনবি জানায়, ১৯৫০ সালে নোয়াখালীতে জন্মগ্রহণ করা মাহফুজউল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থবিদ্যা ও সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন।

তিনি তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী হিসেবে ঊনসত্তরের ১১ দফা আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্র রাজনীতির কারণে আইয়ুব খানের সামরিক শাসনামলে তাকে ঢাকা কলেজ থেকে বহিষ্কার করা হয়।

ছাত্রাবস্থাতেই মাহফুজ উল্লাহ সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। বাংলাদেশের একসময়ের সবচেয়ে জনপ্রিয় সাপ্তাহিক বিচিত্রার জন্মলগ্ন থেকেই তিনি এ পত্রিকার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। মাঝে চীন গণপ্রজাতন্ত্রে বিশেষজ্ঞ হিসেবে, কলকাতাস্থ বাংলাদেশ উপদূতাবাসে এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ এবং সাংবাদিকতা বিভাগে খণ্ডকালীন শিক্ষক হিসেবে কাজ করেন। বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নেতৃস্থানীয় বাংলা ও ইংরেজি দৈনিকে কাজ করেছেন তিনি। রেডিও ও টেলিভিশনে অনুষ্ঠান উপস্থাপনাও করেছেন।

মাহফুজউল্লাহ আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিত একজন সক্রিয় পরিবেশবিদ এবং বাংলাদেশে তিনিই প্রথম পরিবেশ সাংবাদিকতা শুরু করেন।

বিভিন্ন বিষয়ে বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় লেখা তার বইয়ের সংখ্যা ৫০ এর অধিক এবং এসবের অধিকাংশই পৃথিবীর বিভিন্ন নেতৃস্থানীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের লাইব্রেরীতে সহায়ক গ্রন্থ হিসেবে সংগৃহীত আছে।

Comments