আন্দোলনের মুখে ছুটিতে গেলেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি

Barishal University
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়। ছবি: সংগৃহীত

এক মাসেরও বেশি সময় ছাত্র আন্দোলনের পর বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. এসএম ইমামুল হক বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম থেকে ছুটি নিয়েছেন। আজ সোমবার তার ছুটি অনুমোদিত হয়েছে।

শিক্ষার্থীদের বাদ দিয়ে স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠান আয়োজনকে কেন্দ্র করে এই ঘটনার সূত্রপাত হয়েছিল। কিন্তু সমঝোতার পথে না হেঁটে শিক্ষার্থীদের ‘রাজাকারের বাচ্চা’ বলে বসেন উপাচার্য। এর পর থেকে তাকে অপসারণের দাবিতে টানা আন্দোলন হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টিতে।

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার হাসিনুর রহমান দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, ২৬ মে পর্যন্ত তিনি ছুটিতে থাকবেন। ১১ এপ্রিল থেকে তার ছুটি শুরু হয়েছে। ছুটির শেষ হওয়ার পরের দিন ২৭ মে উপাচার্য হিসেবে তার শেষ কার্যদিবস হবে।

আন্দোলন স্তিমিত করতে ২৮ মার্চ বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে হল ছাড়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল শিক্ষার্থীদের। কিন্তু এর পরও আন্দোলন বন্ধ করতে পারেনি প্রশাসন।

উপাচার্যবিরোধী আন্দোলনের মধ্যে গত ৬ এপ্রিল সার্কিট হাউস মিলনায়তনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নিয়ে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক, বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ, বিভাগীয় কমিশনার রাম চন্দ্র দাস, নগর পুলিশ কমিশনার মো. মোশারফ হোসেন, জেলা প্রশাসক এস এম অজিয়র রহমানসহ বেশ কয়েক শিক্ষকের বৈঠক হয়।

বৈঠক শেষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, “উপাচার্যের পদের মেয়াদ রয়েছে প্রায় দুই মাস। এই দুই মাসে তিনি যাতে কর্মস্থলে না আসেন, সে লক্ষ্যে আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ জানিয়ে একটি লিখিত সুপারিশ পাঠাব। এ বিষয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সিদ্ধান্ত নেবেন।”

তবে এর পরও লিখিত প্রতিশ্রুতির দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বন্ধ রেখে আন্দোলন চালিয়ে গেছেন শিক্ষার্থীরা।

Comments

The Daily Star  | English

Polls could be held in mid-February

Chief Adviser Prof Muhammad Yunus has said the next general election could be held in the week before the start of Ramadan in 2026.

2h ago