পুরষ্কারের টাকা দলের সবাইকে ভাগ করে দিবেন মনিকা
করেছেন একটি গোল। করিয়েছেন একটি। তবে এ দুটি গোল দিয়ে মনিকা চাকমার খেলার বিশ্লেষণ করা সম্ভব নয়। পুরো ম্যাচই ছিল মনিকাময়। মাঝ মাঠ সামলেছেন। বাংলাদেশের প্রতিটি আক্রমণের মধ্যমণি ছিলেন। এমন ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় আর কেইবা হতে পারেন। ম্যাচ সেরার পুরষ্কার মিলেছে তার। কিন্তু এ এটা দলের সবাইকে ভাগ করে দিবেন এ মিডফিল্ডার।
কদিন আগেই সামাজিক মাধ্যমে সংবাদ সম্মেলনের একটি ভিডিও ভাইরাল হয়। সেখানে এক সাংবাদিক গ্রুপ পর্বের দ্বিতীয় ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় সানজিদা আক্তারকে মজা করেই প্রশ্ন করেন, ৫০০ ডলার দিয়ে আপনি করবেন। লাজুক হাসি দিয়ে সানজিদা বলেছিলেন, সেটা ব্যাংকে জমা রাখবেন তিনি। বাস্তব দৃষ্টিতে এটা খুবই স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ নারী দলের অধিকাংশ খেলোয়াড়ই মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে উঠে আসা। তাই ৫০০ ডলার যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪০ হাজার টাকা অনেকই তাদের জন্য। সেমি-ফাইনালে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে তা মিলেছে মনিকার। কিন্তু এ অর্থের মালিক একা নিজে দাবী করছেন না মনিকা। তার যুক্তিও দিয়েছেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আগের ঘটনার রেশ ধরেই এক সাংবাদিক জিজ্ঞাসা করলেন আপনি কি করবেন এ টাকা দিয়ে? মনিকার উত্তর, ‘ম্যাচ সেরা হয়ে খুব ভালো লাগছে। আমি মনে করি দলের সবাই যদি আমাকে পাস না দিত তাহলে আমি এতো ভালো খেলতে পারতাম না। এমনকি স্যারেরাও আমাদের যে সাহায্য করেছে সেটা না করলে হতো না। তাই সবাইকেই কিছু কিছু ভাগ করে দিব।’
বড় মনের পরিচয় দিয়েছেন মনিকা। দিয়েছেন সতীর্থদের ভালোবাসার প্রতিদান। যেভাবে খেলেছেন তার ধারাবাহিকতা ধরে রাখলে ফাইনালে হয়তো মিলতে পারে এ পুরষ্কার। কিন্তু ম্যাচ সেরার পুরষ্কার নয় দলের জয় চান এ মিডফিল্ডার, 'আসলে ম্যাচ সেরা হওয়া নিয়ে ভাবছি না। আমি চাই দলে যেন জিতে। চ্যাম্পিয়ন হতে।'
এদিন মনিকাময় একটি ম্যাচ মঙ্গোলিয়াকে প্রায় উড়িয়েই দিয়েছে বাংলাদেশ। ৩-০ গোলের জয় পেয়েছে তারা। অথচ দলের অন্যতম সেরা দুই তারকা কৃষ্ণা রানি সরকার ও সিরাত জাহান স্বপ্নাকে ছাড়া খেলতে নেমেছিল দলটি। তাদের অভাব টের পাওয়া যায়নি মনিকার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে। তাতে ফাইনালের টিকেট মিলেছে বাংলাদেশের মেয়েদের।
Comments