টটেনহ্যামকে হারিয়ে ফাইনালের পথে আয়াক্স

ছবি: এএফপি

১৯৯৬ সালের পর প্রথমবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলতে পারার হাতছানি আয়াক্সের। আর এর জন্য ডাচ লিগ কর্তৃপক্ষ সাহায্য করেছেও দারুণ। লিগে আয়াক্সের খেলায় বিরতি দেয় ১০ দিনের বেশি। আর তার সদ্ব্যবহার দারুণভাবেই করেছে নেদারল্যান্ডসের দলটি। টটেনহ্যাম হটস্পার্সকে তাদের মাটিতেই হারিয়ে দিয়েছে। ১-০ গোলের দারুণ জয়ে স্বপ্নের ফাইনালের পথ অনেকটাই এগিয়ে রইল তারা।

লম্বা সময় চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারে খেলতে না পারলেও এ আসরে চার বারের চ্যাম্পিয়ন আয়াক্স। দুইবার রানার্স আপও হয়েছে দলটি। সেখানে প্রতিপক্ষ টটেনহ্যাম এবারই প্রথম খেলছে চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল। আর প্রথম সুযোগের প্রথম লেগ খুব একটা ভালো কাটল না তাদের। পরের ম্যাচ খেলতে হবে আয়াক্সের মাঠে। সেখান জয় নিয়ে ফিরে আসা কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। কারণ চলতি আসরে প্রত্যাবর্তনের একের পর এক গল্প লিখে চলেছে দলগুলি।

প্রতিপক্ষের মাঠে খেললেও এদিন ম্যাচে দাপট ছিল আয়াক্সেরই। ম্যাচের ১৫তম মিনিটেই এগিয়েও যায় দলটি। সে গোলটিই হয় শেষ পর্যন্ত ম্যাচের নির্ধারক। হাকিম জিয়েখের পাস থেকে অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ফাঁকায় বল পেয়ে যান দনি ভ্যান দি বিক। বল নিয়ন্ত্রণে নিয়ে দেখেশুনে সময়ে নিয়ে গোলরক্ষক হুগো লরিসকে পরাস্ত করেন এ মিডফিল্ডার।

২৪তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করার দুর্দান্ত সুযোগ পেয়েছিল অতিথিরা। এবারও সেই দি বিক। দুসান তাদিচের বাড়ানো বলে ডি বক্সে মধ্যে দারুণ শট নিয়েছিলেন দি বিক। কিন্তু তার চেয়েও দারুণ দক্ষতায় সে শট ফিরিয়ে দেন গোলরক্ষক লরিস।

দুই মিনিট পর ব্যবধান কমানোর দারুণ সুযোগ পেয়েছিল টটেনহাম। ফ্রি কিক থেকে কিয়েরান ট্রিপিয়ারের নেওয়ার ক্রসে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন ফের্নান্দো লরেন্তে। কিন্তু তার হেড লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ম্যাচের যোগ করা সময়ে আরও একটি ফ্রি কিক থেকে ট্রপিয়ারের নেওয়া ক্রসে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন টবি অল্ডারওয়েরেল্ড। কিন্তু তিনিও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি।

দ্বিতীয়ার্ধে গোল শোধ করতে মরিয়া হয়েই খেলতে থাকে টটেনহ্যাম। তবে সুবিধা করে উঠতে পারেনি। ভালো গোছানো তেমন কোন আক্রমণ করতে ব্যর্থ হয় দলটি। ৫৬তম মিনিটে ট্রিপিয়ারের ক্রস থেকে ফাঁকায় হেড দেওয়ার সুযোগ পেয়েও লক্ষ্যে রাখতে পারেননি ডেলে আলী। উল্টো ৭৮ মিনিটে প্রায় গোল খেতে বসেছিল দলটি। তাদিচের বাড়ানো বলে ডি বক্সের বা প্রান্তে ফাঁকায় বল পেয়ে যান দাভিদ নেরেস। ভালো শটও নিয়েছিলেন। কিন্তু বার পোস্টে লেগে ফিরে আসলে সে যাত্রা বেঁচে যায় স্বাগতিকরা।

Comments

The Daily Star  | English

Public gatherings banned in key Dhaka areas from tomorrow: ISPR

Restrictions imposed to maintain order near Chief Adviser’s Office, military zones

21m ago