মঞ্চে ‘সূতায় সূতায় হ্যানা ও শাপলা’

ঢাকার মঞ্চে যুক্ত হয়েছে আরেকটি নতুন নাটক। থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘সূতায় সূতায় হ্যানা ও শাপলা’। গত ২৬ এপ্রিল নাটকটির প্রথম মঞ্চয়নের পর আগামীকাল (২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর নাটক সরণীর (বেইলী রোড) মহিলা সমিতি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে এর দ্বিতীয় মঞ্চায়ন।
Stage drama Shapla

ঢাকার মঞ্চে যুক্ত হয়েছে আরেকটি নতুন নাটক। থিয়েটার আর্ট ইউনিটের ‘সূতায় সূতায় হ্যানা ও শাপলা’। গত ২৬ এপ্রিল নাটকটির প্রথম মঞ্চয়নের পর আগামীকাল (২ মে) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় রাজধানীর নাটক সরণীর (বেইলী রোড) মহিলা সমিতি মিলনায়তনে আয়োজন করা হয়েছে এর দ্বিতীয় মঞ্চায়ন।

আনিকা মাহিনের লেখা নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন রোকেয়া রফিক বেবী।

‘সূতায় সূতায় হ্যানা ও শাপলা’ মূলত পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই নারীর গল্প। হ্যানা বিংশ শতাব্দীর দ্বারপ্রান্তে জন্ম নেওয়া সুইডেনের এক সূচিশিল্পী। অন্যদিকে শাপলা বাংলাদেশের এক পোশাকশ্রমিক। নাটকটি এই দুই মৃত নারীর পরস্পরের গল্প কথন।

আজ (১ মে) রোকেয়া রফিক বেবী দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, “স্বপ্নের মধ্যেই তো আমরা বসবাস করি। আমরা স্বপ্ন দেখি, আবার তা ভেঙ্গে যায়। এই নাটকে স্বপ্নের মাধ্যমে পৃথিবীর দুই প্রান্তের দুই নারীকে এক মঞ্চে আনা হয়েছে। তাদের অন্তর্মিল প্রক্রিয়াটি এরকম যে এরা দুজনেই সূচিকর্মের সঙ্গে যুক্ত। তারা তাদের মায়ের কাছ থেকে সূচিকর্মের কাজ শিখেছে।”

তিনি জানান, এ নাটকে নকশি কাঁথার উপস্থাপনার সঙ্গে শাপলার জীবনের সংগ্রামের গল্পগুলো তুলে ধরা হয়েছে। দেশীয় পালা রীতিকে গল্প কথনের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। ব্যবহার করা হয়েছে গান। দর্শকরা ইউরোপের অপেরার পাশাপাশি পাবেন বাংলার লোকসংগীত। এখানে দুটি দেশের সংস্কৃতিকে পাশাপাশি দেখা যাবে।

নাটকটিকে ভাবনা কীভাবে এলো জানতে চাওয়া হলে রোকেয়া রফিক বেবী একে দুই দেশের সাংস্কৃতিক আদান-প্রদানের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে উল্লেখ করেন। বলেন, “২০১৭ সালের সুইডেনের একটি দল ঢাকায় অপেরা নিয়ে এসেছিলো। অপেরায় তারা রানা প্লাজা ট্রাজেডি উঠিয়ে এনেছিলো। তখন তাদের সঙ্গে কথা হয়। দুটি দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন কীভাবে করা যায় সে বিষয়ে আলোচনা হয়। সেই প্রচেষ্টার একটি ফসল হলো এই নাটক।”

নাটকটিতে অভিনয় করেছেন সুজন রেজাউল, সংগীতা চৌধুরী, মিতালী দাস, মেহমুদ সিদ্দিকী, নূরুজ্জামান, এস আর সম্পদ, সজল চৌধুরী, আবীর সায়েম এবং অপ্সরা মৌ।

সংগীত পরিকল্পনায় রয়েছেন সেলিম মাহবুব, আলোক পরিকল্পনা: নাসিরুল হক, কোরিওগ্রামী: সঙ্গীতা চৌধুরী ও মেহমুদ সিদ্দিকী,  পোষাক পরিকল্পনা: মেহমুদ সিদ্দিকী, নাটকটির মঞ্চ পরিকল্পনা- করেছেন আবির সায়েম।

নাটকটির মূল গায়েন সেলিম মাহবুব, গায়েন দলে রয়েছেন চন্দন রেজা, কামরুজ্জামান মিল্লাত, আনিকা মাহিন একা, মাহফুজ সুমন।

কিবোর্ডে রয়েছেন বিপ্লব সরকার, তবলা ও পার্কাশনে মো. সাহাবুল ইসলাম বাবু এবং গিটারে সুজন রেজাউল।

Comments