মংলা, পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত

পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
Cyclonic storm Fani
ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’-র গতিপথ। ছবি: সংগৃহীত

পশ্চিমমধ্য বঙ্গোপসাগর ও এর আশপাশের এলাকায় অবস্থান করছে অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’। মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

মংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরগুলোর পাশাপাশি উপকূলীয় জেলা ভোলা, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোও ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

আজ (২ মে) আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা বলা হয়।

এছাড়াও, চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত নামিয়ে এর পরিবর্তে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ এবং চরগুলোও ৬ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় এবং অমাবস্যার প্রভাবে উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, ভোলা, পটুয়াখালী, বরিশাল, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোর নিম্নাঞ্চল স্বাভাবিক জোয়ারের চেয়ে ৪-৫ ফুট বেশি উচ্চতার জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

ঘূর্ণিঝড় অতিক্রমকালে চট্টগ্রাম, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর, ফেনী, চাঁদপুর, বরগুনা, পটুয়াখালী, বরিশাল, ভোলা, পিরোজপুর, ঝালকাঠি, বাগেরহাট, খুলনা, সাতক্ষীরা জেলাগুলো এবং এদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলোতে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণসহ ঘণ্টায় ৯০-১১০ কিলোমিটার বেগে দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে।

‘ফণী’ সামান্য উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় অর্থাৎ ১৬.০ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৪.৫ ডিগ্রি পূর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে উল্লেখ করে বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এটি আজ (২ মে) সকাল ৯টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১,০৬৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১,০২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯১৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৯২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থান করছিলো।

ঘূর্ণিঝড়টি আরও ঘনীভূত এবং উত্তর ও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে আগামীকাল (৩ মে) বিকাল নাগাদ ভারতের উড়িষ্যা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এরপর উড়িষ্যা-পশ্চিমবঙ্গ উপকূল হয়ে সন্ধ্যা নাগাদ খুলনা ও তৎসংলগ্ন বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল এলাকায় পৌঁছাতে পারে।

খুলনা ও এর আশপাশের উপকূলীয় এলাকায় আগামীকাল সকাল নাগাদ অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’-র অগ্রবর্তী অংশের প্রভাব শুরু হতে পারে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৭৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১৬০ কিলোমিটার যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ১৮০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই বিক্ষুব্ধ রয়েছে।

উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে অতিদ্রুত নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

আরও পড়ুন:

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’র প্রভাবে সারাদেশে নৌচলাচল বন্ধ

‘ফণী’ মোকাবিলায় বাগেরহাটে ২৩৪ আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল

ঘূর্ণিঝড় ‘ফণী’ মোকাবিলায় সরকার প্রস্তুত: ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

Comments

The Daily Star  | English

One month of interim govt: Yunus navigating thru high hopes

A month ago, as Bangladesh teetered on the brink of chaos after the downfall of Sheikh Hasina, Nobel Laureate Muhammad Yunus returned home to steer the nation through political turbulences.

5h ago