সিলেটে ছাত্রলীগের ‘হুমকির’ পর চিকিৎসকদের প্রতিবাদ

ছাত্রলীগ কর্মীর কাছ থেকে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পর এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।
Capture
ছবি: সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ছাত্রলীগ কর্মীর কাছ থেকে এক নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও প্রাণনাশের হুমকি পাওয়ার পর এ ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়েছে সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসকরা।

আমাদের স্থানীয় সংবাদদাতা জানান, এ ঘটনার প্রতিবাদে গতকাল সন্ধ্যায় হাসপাতালের বাইরে এসে কর্মবিরতি পালন করেছেন চিকিৎসকরা।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাতে জানা গেছে, সিলেটের দক্ষিণ সুরমা উপজেলা শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সারওয়ার হোসেন চৌধুরী একজন রোগীকে নিয়ে হাসপাতালে যান। এ সময় তার সঙ্গে বেশ কয়েকজন অনুসারী ছিলেন।

তাদের উপস্থিতিতেই ওই রোগীকে চিকিৎসা দিতে দায়িত্বরত চিকিৎসককে বলেন সারওয়ার। কিন্তু, ওই চিকিৎসক রোগীর সঙ্গে থাকা লোকজনকে কক্ষ থেকে বেরিয়ে যেতে বলেন, যাতে সারওয়ার অসন্তুষ্ট হন।

সারওয়ার তখন রোগীকে সিলেট মহানগর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে পরিচয় দিয়ে ওই নারী চিকিৎসককে ধর্ষণ এবং প্রাণনাশের হুমকি দেন।

যদিও বর্তমানে সিলেট মহানগর এবং জেলায় ছাত্রলীগের কোনো কমিটি নেই।

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী চিকিৎসক ডা. নাজিফা আনজুম নিশাত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভিডিওসহ বিস্তারিত বর্ণনা দিয়ে একটি পোস্ট দিয়েছেন।

সিলেট উইমেন্স মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. ফেরদৌস হোসেন বলেন, “তারা সন্ত্রাসীর মতো আচরণ করেছেন। কিন্তু আমরা তো আর তা করতে পারি না।”

এ বিষয়ে জানার জন্য সারওয়ার হোসেন চৌধুরী সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বন্ধুর অসুস্থতার কারণে আমি বিপর্যস্ত ছিলাম, তাছাড়া আমরা বেরিয়ে না যাওয়া পর্যন্ত তারা চিকিৎসা সেবা দিবেন না বলে জানান বিধায় দায়িত্বরত চিকিৎসকের সঙ্গে আমার ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে। আশা করি আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান হয়ে যাবে।”

Comments

The Daily Star  | English

Abu sayed’s death in police firing: Cops’ FIR runs counter to known facts

Video footage shows police shooting at Begum Rokeya University student Abu Sayed, who posed no physical threat to the law enforcers, during the quota reform protest near the campus on July 16. He died soon afterwards.

9h ago