ইরানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে রয়েছে যুক্তরাজ্য

ইরান প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে রয়েছে সবসময়ের মিত্র দেশ যুক্তরাজ্য। ওয়াশিংটনের মতো লন্ডনও ইরানকে হুমকি হিসেবে দেখছে।
Foreign Secretary Jeremy Hunt
১৩ মে ২০১৯, ব্রাসেলসে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট (ডানে) এবং যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও। ছবি: রয়টার্স ফাইল ফটো

ইরান প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের পাশে রয়েছে সবসময়ের মিত্র দেশ যুক্তরাজ্য। ওয়াশিংটনের মতো লন্ডনও ইরানকে হুমকি হিসেবে দেখছে।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক খবর গতকাল (১৬ মে) বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের মতো যুক্তরাজ্যও ইরানকে হুমকি মনে করে এবং এ বিষয়ে দুই মিত্র ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে।

যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেরেমি হান্ট ইরানের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও এর সঙ্গে লন্ডনে গত সপ্তাহে কথা বলেছেন। তারপর গত ১৩ মে তারা ব্রাসেলসেও বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন।

এক টুইটার বার্তায় যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, “ইরান যে হুমকি হিসেবে আর্বিভূত হয়েছে সে বিষয়ে আমরা একমত। যেহেতু আমরা সবসময়ই যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করি।”

অথচ, গেলো সপ্তাহের শুরুতে এক ব্রিটিশ জেনারেল ইরানকে হুমকি হিসেবে দেখার বিষয়ে ট্রাম্প প্রশাসনের দাবি নিয়ে প্রশ্ন তুললে ব্রিটেনের প্রতিরক্ষামন্ত্রী তাকে সমর্থন দিয়েছিলেন।

সেসময় যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় কমান্ডের প্রধান মুখপাত্র নেভি ক্যাপ্টেন বিল আরবান বলেন, ব্রিটিশ জেনারেলের বক্তব্য যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা তথ্যের বিরুদ্ধে যাচ্ছে।

এছাড়াও, সিরিয়া এবং ইরাকে আইএস জঙ্গিদের বিরুদ্ধে লড়াইরত যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন জোটের ডিপুটি কমান্ডার ক্রিস ঘিকা জানিয়েছেন যে তারা ইরান সমর্থিত কোনো গোষ্ঠীর কাছ থেকে কোনো হুমকি পাননি।

তার এই বক্তব্যের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের দাবির কোনো মিল পাওয়া যায় না। ক্রিস ঘিকার এমন বক্তব্যে পেন্টাগনকে নিয়ে জনমনে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়েছে বলেও মন্তব্য করেন অনেক বিশ্লেষক।

তবুও, ইরানের কাছ থেকে হুমকি এসেছে- এমন ঘোষণা দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র মধ্যপ্রাচ্যে বিমানবাহী যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে। সেখানে লক্ষাধিক সৈন্য পাঠানোর বিষয়ে প্রাথমিক পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে বলেও সংবাদমাধ্যমে খবর বের হয়।

স্কাই নিউজের বরাত দিয়ে রয়টার্সের অপর এক প্রতিবেদনে গতকাল বলা হয়, ইরাকে অবস্থানরত ব্রিটিশ সৈন্য ও কূটনীতিবিদদের ওপর ইরানের হুমকিকে গুরুত্বের সঙ্গে দেখছে যুক্তরাজ্যের কর্তাব্যক্তিরা। তারা নিরাপত্তা ঝুঁকিতে রয়েছেন বলেও মনে করছে যুক্তরাজ্য সরকার।

এর ফলে সৌদি আরব, কুয়েত এবং কাতারে অবস্থানরত ব্রিটিশ সেনা সদস্য ও তাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতি সতর্কতার মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে তেরিজা মের প্রশাসন।

আরও পড়ুন:

‘যুক্তরাষ্ট্রের চোখ এড়িয়ে চীনে ইরানি তেল খালাস’

‘পরমাণু চুক্তি’ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে ‘আংশিক’ সরে দাঁড়াচ্ছে ইরান

‘ইরানকে মোকাবিলায় লক্ষাধিক সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র’

Comments

The Daily Star  | English
Fakhrul warns against long interim govt rule

Public won't tolerate interim govt staying for a long time: Fakhrul

Elected representatives should decide what reforms are necessary, says BNP secretary general

4h ago