বাংলাদেশের গোটা দলই এখন ‘আত্মবিশ্বাসে ভরপুর’
বারবার ফাইনালে উঠেও জিততে না পারার হতাশা থেকেই একটা শিরোপা খুব দরকার ছিল বাংলাদেশের। বিশ্বকাপের আগে দরকার ছিল বিশ্বাসের ঘর থেকে ঘুণপোকা তাড়ানোরও। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ত্রিদেশীয় কাপ জিতে সেই স্বস্তি এসেছে। অধিনায়ক মাশরাফি মর্তুজা মনে করেন, এই জয় বিশ্বকাপে নামার আগে আত্মবিশ্বাসে ভরপুর করে তুলেছে গোটা দলকে।
শুক্রবার ডাবলিনে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টের ফাইনালে ডি/এল মেথডে ২৪ ওভারে ২১০ রান তাড়া করে ৫ উইকেটে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারায় বাংলাদেশ। ছেলেদের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বহুজাতিক কোন আসরে জিতে নেয় প্রথম শিরোপা।
আর এমন সাফল্যে বিশ্বকাপের আগে পুরো দলকেই চাঙ্গা দেখছে পাচ্ছেন অধিনায়ক, ‘বিশ্বকাপে আমরা ভরপুর আত্মবিশ্বাস নিয়ে যাচ্ছি যা খুব কাজে দেবে।’
বৃষ্টির কারণে ২৪ ওভারে নেমে আসা বাংলাদেশের লক্ষ্যটা অতো সহজ ছিল না। সাকিব আল হাসান চোটের কারণে খেলতে পারেননি। তবু কোন প্রভাব পড়েনি তাতে। সবচেয়ে ভরসার কথা অন্য সিনিয়রদের ছাপিয়ে সেই কঠিন কাজ সহজ করেছেন দুই তরুণ। সৌম্য সরকারের ৪১ বলে ৬৬ রানের পর সাত নম্বরে নেমে মোসাদ্দেক হোসেন চালিয়েছেন তাণ্ডব। মাত্র ২৪ বলে ৫২ করে জিতিয়েছেন দলকে। ইংল্যান্ডের ব্যাটিং স্বর্গে নামার আগে মারকাটারি ব্যাটিংয়ের এই প্রদর্শনী মাশরাফিকে দিচ্ছে আলাদা স্বস্তি, ‘ইংল্যান্ডে উইকেট আরও অনেক ব্যাটিং বান্ধব হবে। কাজেই সেদিক থেকে ভাবলে নিচের দিকের কারো এমন ব্যাটিং সত্যিই সুখকর।’
আয়ারল্যান্ডে টুর্নামেন্টটা খেলাই বিশ্বকাপের প্রস্তুতির জন্য। উইকেটের কন্ডিশন ইংল্যান্ডের সঙ্গে পুরো মিল না থাকলেও বিরূপ পরিস্থিতিতে দাপট দেখিয়ে জেতার বিশ্বাস জড়ো করা দরকার ছিল বাংলাদেশের। যেকোনো অবস্থায় জেতার ভাবনা দলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ারও দরকার ছিল। সব কিছু হিসেব মতো হওয়ায় প্রস্তুতিটাকে একদম পাক্কা মনে করছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক, ‘বিরতির সময় সবাই বলেছে, পুরো টুর্নামেন্টে আমরা যেমন খেলেছি, এই রান তাড়া করতে পারব। এবং সেটা পেরেছি। সবচেয়ে বড় কথা বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা খুব ভালো হয়েছে।’
ফাইনাল শেষ করেই মাশরাফি ধরেছেন দেশের বিমান। তিন, চার দিন দেশে ছুটি কাটিয়ে বৃহস্পতিবার কার্ডিফে দলের সঙ্গে যোগ দেবেন।
২ জুন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাচ দিয়ে শুরু হবে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ। তার আগে ২৬ মে পাকিস্তান ও ২৮ মে ভারতের বিপক্ষে দুটি অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে মাশরাফি মর্তুজার দল।
Comments