দিল্লির মসনদ কার, বৃহস্পতিবার মিলবে উত্তর
আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা পরই জানা যাবে ভারতের ১৭তম জাতীয় নির্বাচনের ফলাফল। স্থানীয় সময় সকাল ৮টা থেকে গণনা কেন্দ্রগুলোতে ভোট গণনা শুরু হবে। আশা করা হচ্ছে বৃহস্পতিবার রাত ১০টার মধ্যে চূড়ান্ত ফলাফল জানা যাবে।
এবার শুধু ইভিএম মেশিনের ফলাফল গণনাই হবে না; প্রত্যেক লোকসভা কেন্দ্রের সাতটি করে বিধানসভার মধ্যে লটারিতে ওঠা একটি বিধানসভার পাঁচটি কেন্দ্রে ভিভিপ্যাড স্লিপও গণনা করা হবে। তাই ইভিএমের ফলাফল সামনে এলেও চূড়ান্তভাবে ফল প্রকাশ হতে একটু সময় লাগবে। কারণ ভোট দেওয়ার পর প্রিন্ট হয়ে বের হওয়া ভিভিপ্যাড স্লিপটা অনেকটাই ব্যালট বাক্সের ভোট গণনার মতো। দেরি হওয়ার কারণ এটাই।
ভারতের লোকসভার ৫৪৩ আসনে প্রত্যক্ষ নির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও একটি আসনের ভোট হয়নি। তাই বৃহস্পতিবার ৫৪২ আসনের ফলাফল প্রকাশ করা হবে।
নির্বাচন কমিশন সূত্র বলছে, বৃহস্পতিবার (২৩ মে) সকাল সাড়ে ৬টার মধ্য গণনাকর্মীরা গণনা কেন্দ্রে যাবেন। ৭টার মধ্য স্ট্রং রুম (যেখানে ভোটের পর থেকে ইভিএম ও ভিভিপ্যাড মেশিন রাখা আছে) সেখান থেকে গণনা কেন্দ্রে পৌঁছবে। সকাল ৮টা থেকে গণনা শুরু হবে।
পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের ৪২ আসনের ৫৮টি গণনা কেন্দ্র একযোগে গণনা হবে। ২৫ হাজার গণনাকর্মী এই কাজ করবেন। গণনার কাজে রাজ্যজুড়ে ৮২ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে। আর গোটা রাজ্যে ২০০ কোম্পানি আইনশৃঙ্খলার দিক সামলাবে।
গণনা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এক কিলোমিটারের মধ্যে কোনো জমায়েত, সভা, সমাবেশ ও মাইকিং করার ওপর নিষেধজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।
এদিকে ভোট গণনার পর পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যে অশান্তি ছড়াতে পারে এমন আশঙ্কা প্রকাশ করে রাজ্যের বিরোধী বিজেপি নেতৃত্ব বুধবার নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হয়েছে। বুধবার বিকেলে বিজেপি নেতা জয় প্রকাশ মজুমদারের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সেখানে যায় এবং পরে সাংবাদিকদের কাছে শঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্যে নিশ্চিতভাবে খারাপ ফল করবে এবং তারা সেই ফল মেনে নিতে পারবে না। সে কারণেই তারা সন্ত্রাস চালাবে যা নিয়ে আমরা আতঙ্কিত। তার জন্য রাজ্যে কেন্দ্রীয় বাহিনী ফলাফল প্রকাশের পরও যাতে থাকে সেই আবেদন করা হলো।
বামফ্রন্ট নেতা সূর্যকান্ত মিশ্র বলেছেন, ফলাফল প্রকাশের পর অশান্তি হতে পারে। নির্বাচন কমিশন যথাযথ ব্যবস্থা নেবে বলেই আমাদের বিশ্বাস।
কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী বলেছেন, রাজ্যে সাত দফা নির্বাচনের যেভাবে সন্ত্রাস হয়েছে গোটা দেশে আর কোথায় নজির নেই। নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে ভোট করতে পারেনি।
যদিও তৃণমূল কংগ্রেস বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত ভোট পরবর্তী সহিংসতা নিয়ে বিজেপির দিকে অভিযোগের আঙুল তুলেছে। দলটির শীর্ষ নেতা রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেছেন, রাজ্য জুড়ে সন্ত্রাসের পরিবেশ তৈরি করেছে বিজেপি। ধর্মীয় জিগির তুলে দুটো সম্প্রদায়কে বিভক্ত করে তারা সন্ত্রাস চালাতে।
১৯ মে ভারতে সাত দফা ভোটের শেষ দফা ভোট হয়। ১১ এপ্রিল শুরু হয়ে ৩৯ দিন সময় লাগে ভোট শেষ করতে।
Comments