বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কার সঙ্গে কাজ করার আমন্ত্রণে জয়াবর্ধনের ‘না’

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল মাহেলা জয়াবর্ধনেকে। তাও দুই দুইবার। তবে তাতে সাড়া দেননি লঙ্কান ক্রিকেট কিংবদন্তি। কারণ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) বর্তমান কর্মপরিকল্পনা এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে আছেন জয়াবর্ধনে। তাছাড়া বোর্ডের স্বেচ্ছাচারী এবং একরোখা আচরণেও ত্যক্ত-বিরক্ত তিনি। তাই বোর্ড একাধিকবার ডাকলেও মন গলেনি তার।
mahela jayawardene
ফাইল ছবি

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা দলের সঙ্গে কাজ করতে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল মাহেলা জয়াবর্ধনেকে। তাও দুই দুইবার। তবে তাতে সাড়া দেননি লঙ্কান ক্রিকেট কিংবদন্তি। কারণ শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের (এসএলসি) বর্তমান কর্মপরিকল্পনা এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য নিয়ে ধোঁয়াশার মধ্যে আছেন জয়াবর্ধনে। তাছাড়া বোর্ডের স্বেচ্ছাচারী এবং একরোখা আচরণেও ত্যক্ত-বিরক্ত তিনি। তাই বোর্ড একাধিকবার ডাকলেও মন গলেনি তার।

বিশ্বকাপে অধিনায়কত্ব করার কৃতিত্ব আছে জয়াবর্ধনের। তার নেতৃত্বে ২০০৭ আসরের ফাইনালে খেলেছিল শ্রীলঙ্কা। পরের আসরের ফাইনালে সেঞ্চুরিও করেছিলেন তিনি। খেলা ছাড়ার পর মনোযোগ দিয়েছেন কোচিংয়ে। তার অধীনে ২০১৭ ও ২০১৯ আইপিএল জিতেছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। বিপিএলেও খুলনা টাইটান্সের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন সাবেক তারকা ব্যাটসম্যান। তার এসব অভিজ্ঞতা বিশ্বকাপে কাজে লাগতে পারতো শ্রীলঙ্কা। কিন্তু এসএলসি’র প্রস্তাবে ‘না’ বলে দিয়েছেন তিনি।

মূলত, লঙ্কান বোর্ডের সঙ্গে সম্পর্কটা ভালো যাচ্ছে না জয়াবর্ধনের। অতীতে শ্রীলঙ্কার ঘরোয়া ক্রিকেট কাঠামোকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু এসএলসি আমলে নেয়নি ওই পরিকল্পনা। আর গেল বছর জয়াবর্ধনে, কুমার সাঙ্গাকারা ও অরবিন্দ ডি সিলভার সমন্বয়ে গঠিত কমিটি একটি প্রতিবেদন দাখিল করেছিল বোর্ডের কাছে। সেখানে লঙ্কান ক্রিকেটের বর্তমান চালচিত্রের পাশাপাশি নানা পরামর্শের উল্লেখ ছিল। কিন্তু পুরোপুরি অগ্রাহ্য করা হয়েছে তাদের ওই প্রতিবেদন। সে জন্যই দূরত্ব বেড়েছে জয়াবর্ধনে ও বোর্ডের মধ্যে।

প্রস্তাব ফিরিয়ে দেওয়ার বিষয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের কাছে জয়াবর্ধনে বলেন, ‘আমাকে বিশ্বকাপে কাজ করার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু আমাকে অন্যান্য অনেক প্রতিশ্রুতি পালন করতে হবে। তাছাড়া আমি কী কাজ করব, সেটাও আমার কাছে পরিষ্কার না। আর যেহেতু লঙ্কান ক্রিকেটের গোটা কাঠামো নিয়ে আমি কিছু বলতে পারব না, তাই কৌশলগত কাজ করতে দলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার কোনো মানে নেই। দল আগেই নির্বাচন করা হয়ে গেছে এবং সবকিছুই চূড়ান্ত। তাই দলের সঙ্গে কাজ করার এবং নতুন কিছু যোগ করার উপায় নেই আমার।’

বোর্ডের ওপর জয়াবর্ধনের রাগ কতখানি তা প্রকাশ পেয়েছে তার পরের মন্তব্যে, ‘ম্যানেজমেন্টে ছোটখাটো যে অবদান রাখতে পারি তাতেই আমি খুশি, কিন্তু এসএলসির সঙ্গে আর কোনো লেনদেন নেই। আমি নিজেকে সেটা ভালোভাবে বুঝিয়েছি। এমন কোথাও কাজ করার রুচি নেই যখন আমি জানি জায়গাটা আমার জন্য উপযুক্ত না।’

গেল বছরের ওই প্রতিবেদন অগ্রাহ্য করার কারণেই ক্ষেপেছেন জয়াবর্ধনে। রাখঢাক না করেই তিনি জানান, ‘আমরা আট মাস ব্যয় করে একটি পেশাদার ক্রিকেট কাঠামো দাঁড় করিয়েছিলাম। কিন্তু তারা এটা বাতিল করে দিল! আমরা পরিকল্পনাটা করেছিলাম দেশের জন্যই। কারণ, লিগ ক্রিকেট খেলতে অনেক লঙ্কান খেলোয়াড়ই অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডে চলে যাচ্ছে। কিন্তু ওই অভিজ্ঞ খেলোয়াড়দের আমাদের ঘরোয়া ক্রিকেটে দরকার।’

Comments