গ্লোবাল ফ্যান অ্যাওয়ার্ড পাচ্ছেন শোয়েব আলী
চোখের সামনে মাশরাফি, সাকিব, তামিমদের কতো পুরষ্কার নিতে দেখেছেন শোয়েব আলী। আর তাদের হাতে পুরষ্কার নিতে দেখাই ছিল তার জন্য আনন্দের বিষয়। এবার সেই শোয়েব আলী নিজেও পাচ্ছেন পুরষ্কার। ভারতের গ্লোবাল স্পোর্টস ফ্যান অ্যাওয়ার্ড ২০১৯ পুরষ্কার পাচ্ছেন এ টাইগার।
প্রথমবারের মতো এ পুরষ্কারটি দেওয়া হচ্ছে পাঁচ জনকে। শোয়েবের সঙ্গে আছেন শচিন টেন্ডুলকারের ভক্ত সুধীর কুমার গৌতম, বিরাট কোহলির ভক্ত সুখমুর কুমার, পাকিস্তানের চাচা ক্রিকেট নামে খ্যাত আব্দুল জলিল এবং শ্রীলঙ্কার গায়ান সেনানায়েকে। আগামী ১৪ জুন বিশ্বকাপের ফাইনালের দিন ম্যানচেস্টারে এ পুরষ্কার প্রদান করা হবে তাদের হাতে।
বাংলাদেশ ক্রিকেট দলকে উৎসাহ দিতে সবসময়ই মাঠে উপস্থিত থাকেন শোয়েব। দেশের ক্রিকেট ভালোবাসেন তারা তো বটেই, ক্রিকেটের নুনতম খোঁজ খবর যারা রাখেন তারা সবাই এক নামেই চেনেন তাকে। বাংলাদেশের খেলা মানেই বাঘ সেজে পতাকা উড়িয়ে, চিৎকার করে টাইগারদের সমর্থন জানিয়ে উৎসাহ দেন। শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরেও টাইগারদের উৎসাহ দিতে উপস্থিত থাকেন তিনি। ভারত, শ্রীলঙ্কা, জিম্বাবুয়ে, দুবাই সহ অনেক দেশেই গিয়েছেন শোয়েব।
প্রথমবারের মতো পুরষ্কার পেয়ে বেজায় খুশি শোয়েব। ডেইলি স্টার অনলাইনকে বলেন, ‘এটা অবশ্যই আমার জন্য গৌরবের। খুব ভালো লাগছে। তাও আবার ইংল্যান্ডে আমাকে এ পুরষ্কার দেওয়া হবে। তবে এ কৃতিত্ব আমার নয়। কারণ বাংলাদেশ দল আছে বলেই আমি আছি। বাংলাদেশ ভালো খেলে বলেই আজকে আমাকে সবাই চিনেছে।’
সব কৃতিত্ব মাশরাফিদের দিয়েছেন শোয়েব। তাদের কৃতিত্বেই শোয়েবের পুরষ্কার। কিন্তু শোয়েবদের কৃতিত্বও কি কম? মাশরাফিরা বরাবরই বলে থাকেন, ‘মাঠের দর্শকরা আমাদের দ্বাদশ খেলোয়াড়। সমর্থকরা পাশে থাকেন বলেই ভালো খেলার উৎসাহ পাই আমরা।’
অবশেষে টাইগারদের প্রতি ভালোবাসার স্বীকৃতি পেলেন শোয়েব। তবে পুরষ্কার খুব বেশি আহ্লাদিত করেনি তাকে। দল ভালো খেললেই বেশি খুশি হন তিনি, ‘পুরষ্কার পেলে অবশ্যই ভালো লাগে। কিন্তু বাংলাদেশ দল ভালো খেললে আরও বেশি ভালো লাগে। মাঠে যখন জয় পাই তখনই আমি পুরষ্কার পেয়ে যাই।’
কদিন আগেই আয়ারল্যান্ডে প্রথমবারের মতো কোন টুর্নামেন্টে শিরোপা জিতেছে বাংলাদেশ। সেদেইন মাঠে থাকতে পারেননি শোয়েব। তাই কিছুটা আফসোস রয়েছে তার। তবে এবার ইংল্যান্ডে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ জয় দেখেই সে অতৃপ্তির পূর্ণতা আনতে চান এ টাইগার।
Comments