বাংলাদেশের বিপক্ষে স্পিন দিয়ে শুরু করতে যাবে না দ.আফ্রিকা: লিটন

একাদশে চার পেসার। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরের হাতে বল তুলে দেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। তাহিরও প্রথম ওভারেই ছেঁটে ফেলেন বিপদজনক জনি বেয়ারস্টোকে। একই ভেন্যুতে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ২ জুন নামবে বাংলাদেশ। লিটন দাস মনে করেন ইংল্যান্ডের সঙ্গে স্পিন দিয়ে শুরু করলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে তা কররতে যাবে না প্রোটিয়ারা।
Liton Das
ফাইল ছবি: বিসিবি

একাদশে চার পেসার। কিন্তু ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে লেগ স্পিনার ইমরান তাহিরের হাতে বল তুলে দেন দক্ষিণ আফ্রিকা অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি। তাহিরও প্রথম ওভারেই ছেঁটে ফেলেন বিপজ্জনক জনি বেয়ারস্টোকে। একই ভেন্যুতে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই ২ জুন নামবে বাংলাদেশ। তবে ওপেনার লিটন দাস মনে করেন, ইংল্যান্ডের সঙ্গে স্পিন দিয়ে শুরু করলেও বাংলাদেশের বিপক্ষে তা করতে যাবে না প্রোটিয়ারা।

আপনার কি মনে হয় ওরা আমাদের বিপক্ষে স্পিন দিয়ে শুরু করবে? ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লেগ স্পিনার তাহিরকে দিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং শুরু করানোর কথা জেনে লিটন দাসের পাল্টা প্রশ্ন। তাতে মিশে থাকল যেন কিছুটা শ্লেষ!

ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকা উদ্বোধনী ম্যাচের দিন কোনো অনুশীলন রাখেনি বাংলাদেশ। ক্রিকেটাররা নিজেদের মতো করে ছুটি কাটাচ্ছেন। এই ফাঁকে খেলা দেখার কাজও চলছে।

ওপেনিংয়ে তামিম ইকবালের সঙ্গী হতে সৌম্য সরকারের সঙ্গে লড়াই চলছে লিটনের। যদিও সে লড়াইয়ে অনেকখানি এগিয়ে আছেন সৌম্য। তবু লিটনের খেলার সম্ভাবনা একেবারেই নেই, তা বলা যাচ্ছে না। যদি খেলেন তাহলে শুরুর দিকের চ্যালেঞ্জ নিতে হবে তাকেই। স্পিনের বিপক্ষে দারুণ দক্ষ লিটন তাই মনেই করেন না বাংলাদেশের বিপক্ষে এই কৌশল নিতে যাবে দক্ষিণ আফ্রিকা, ‘আপনার কি মনে হয় স্পিন দিয়ে শুরু করবে? আমার মনে হয় না করবে (স্পিন দিয়ে শুরু)। যদি করে তাহলে বাংলাদেশ দল তো স্পিন খেলেই।’

স্পিন দিয়ে শুরু হবে না পেস দিয়ে তা আবার নির্ভর করবে উইকেটের ওপরও। গ্রীষ্মে ইংলিশ উইকেটগুলোতে প্রচুর রান হলেও ওয়ার্মআপ ম্যাচে দাপট দেখিয়েছেন পেসাররা। ভারতকে সুইং দিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে ট্রেন্ট বোল্টদের নিউজিল্যান্ড।

বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে অতটা সুইংয়ের পসরা দেখা যায়নি। তবে স্পিনাররা তাল পেয়েছেন ভালোই। লিটন তাই মনে করেন, উইকেট নিয়ে অতশত ভেবে মাথা খারাপ করার কোনো মানে নেই। বরং খেলতে নেমে যেমন উইকেট মিলবে তার সঙ্গেই মানিয়ে নেওয়া ভালো,  ‘ভারত-নিউজিল্যান্ড ম্যাচের উইকেট ভিন্ন ছিল। আজ যেখানে খেলা হচ্ছে, সেটাও ভিন্ন উইকেট। আমার কাছে মনে হয় যেদিন যে উইকেটে খেলা হবে, সেদিন সেরকম প্রস্তুতি নেওয়াই ভালো হবে। ধরে নিলাম সুইং হবেই। কিন্তু এমন হতে পারে যে বল সুইং নাও করতে পারে।’

উইকেট, প্রতিপক্ষের রণকৌশল বাদ দিয়ে নিজেদের কাজট কতদূর এগুলো? দুরুদুরু বুকে বিশ্বকাপ খেলতে দেশ ছেড়েছিল বাংলাদেশ। ভালো খেলার বিশ্বাস থাকলেও মনে খেলা করছিল ভয়ের চোরাস্রোতও। আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্টে অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হয়ে নাকি সেসব বেমালুম গায়েব! এখন নিজেদেরকে আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে আত্মবিশ্বাসী মনে করছেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা।

শেষ মুহূর্তের ঝালাই বলে যদি কিছু থাকে তো থাকল। না হলে বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি তো একরকম শেষই। তো সেই প্রস্তুতিটা কেমন তার উত্তরে লিটনের কণ্ঠই বলে দিল তাদের আত্মতৃপ্তির জায়গা,  ‘প্রস্তুতি বললে বিশ্বকাপের আগে ত্রিদেশীয় টুর্নামেন্ট আমাদের অনেক এগিয়ে দিয়েছে। বাংলাদেশে থাকলে এতটা উন্নতি হতো না। যেটা আমরা এখানে করতে পেরেছি। আর কয়েকদিন ক্যাম্পও হয়েছে। তাছাড়া একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেললাম ভারতের সঙ্গে। আমি মনে করি বাংলাদেশ দলের প্রস্তুতি খুব ভালো।’

Comments