দ. আফ্রিকাকে উড়িয়ে দিয়ে ইংল্যান্ডের শুভ সূচনা
![](https://bangla.thedailystar.net/sites/default/files/styles/big_202/public/feature/images/england_2.jpg?itok=gHDb5paZ×tamp=1559222697)
৩১২ রানের লক্ষ্য। বিশালই। তবে সাম্প্রতিক সময়ে ইংল্যান্ডের মাঠে এমন লক্ষ্য হরহামেশাই তাড়া করে জয় পাচ্ছে দলগুলো। এদিন ইংলিশদের সাধ্যের মধ্যে আটকে রেখে ভালো কিছুর ইঙ্গিত দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। তবে বিশ্বকাপের চমক জোফরা আর্চারের বিধ্বংসী বোলিংই তা আর হয়নি প্রোটিয়াদের। তার বোলিং তোপে পড়ে ২০৭ রানে গুটিয়ে যায় দলটি। ইংল্যান্ড পায় ১০৪ রানের বিশাল জয়।
লক্ষ্য তাড়ায় দলীয় ১৩ রানেই বড় আঘাতটা পায় দক্ষিণ আফ্রিকা। জোফরা আর্চারের বাউন্সার হেলমেটে লাগলে মাথায় আঘাত পেয়ে মাঠ ছাড়েন ইনফর্ম ওপেনার হাশিম আমলা। তার জায়গায় নেমে খুব বেশিক্ষণ স্থায়ী হননি এইডেন মার্করাম। অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসিও হতাশ করেন। তবে তৃতীয় উইকেটে ভ্যান ডার দুসেনকে নিয়ে দলের হাল ধরেছিলেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ৮৫ রানের জুটিও গড়েন তারা। কিন্তু এ জুটি ভাঙলে প্রায় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় দলটি। ফলে ১১.১ ওভার বাকী থাকতে ২০৭ রানেই গুটিয়ে যায় তারা।
দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৬৮ রানের ইনিংস খেলেন ডি কক। ৭৪ বলে ৬টি চার ও ২টি ছক্কায় এ রান করেন তিনি। এছাড়া ৫০ রানের ইনিংস খেলেন দুসেন। ইংলিশদের পক্ষে ২৭ রানের খরচায় ৩টি উইকেট পান আর্চার। এছাড়া ২টি করে উইকেট নেন লিয়াম প্লাঙ্কেট ও বেন স্টোকস।
এর আগে ওভালের স্বর্গে টস জিতে ফিল্ডিং নেন প্রোটিয়া অধিনায়ক ফাফ দু প্লেসি। অধিনায়কের সিদ্ধান্তের সার্থকতা অবশ্য রেখেছিলেন ইমরান তাহির। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই বিধ্বংসী ওপেনার জনি বেয়ারস্টোকে কট বিহাইন্ড করে ফেরালেন তিনি। কিন্তু এরপরই তাদের হতাশা উপহার দেন আরেক ওপেনার রয় ও রুট। এ দুই ব্যাটসম্যান গড়েন ১০৬ রানের জুটি। এরপর অবশ্য প্রোটিয়া বোলাররা দারুণভাবে ম্যাচে ফিরেছিল। দুই সেট ব্যাটসম্যানকে আউট করেন আন্দিল ফেলুকওয়ায়ো ও কাগিসো রাবাদা।
১১১ রানে ৩ উইকেট হারানো দলের হাল বেন স্টোকসকে নিয়ে ধরেন অধিনায়ক ইয়ন মরগান। চতুর্থ উইকেটে এ দুই ব্যাটসম্যানও গড়েন ১০৬ রানের জুটি। তখন সাবলীলভাবেই এগিয়ে যাচ্ছিলেন তারা। কিন্তু তাহিরের বলে এডউইন মার্করামের দারুণ এক ক্যাচে আউট হন অধিনায়ক মরগান। তাতে ম্যাচে ফিরে আসে দক্ষিণ আফ্রিকা। এরপর ব্যাটসম্যান জস বাটলারকেও তারা ফেরায় দ্রুত। মইন আলী ফিরে যান প্রোটিয়া অধিনায়ক দু প্লেসির দারুণ এক ক্যাচে। তাতে ভাটা পড়ে রানের গতিতে।
তবে এক প্রান্ত ধরে রেখে দলকে টেনে নেন স্টোকস। ৪৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগে দলকে পৌঁছে দেন তিনশ রানের কোটায়। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেট হারিয়ে ৩১১ রান করে দলটি। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৮৯ রান করেন স্টোকস। ৭৯ বলে ৯টি চারে এ রান করেন তিনি। এছাড়া রয় ৫৪, রুট ৫১ ও মরগান ৫৭ রানের ইনিংস খেলেন। প্রোটিয়াদের মধ্যে ৬৬ রানের খরচায় ৩টি উইকেট নিয়ে সেরা বোলার এনগিডি। ২টি করে উইকেট নেন তাহির ও রাবাদা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ইংল্যান্ড: ৫০ ওভারে ৩১১/৮ (রয় ৫৪, বেয়ারস্টো ০, রুট ৫১, মরগান ৫৭, স্টোকস ৮৯, বাটলার ১৮, মইন ৩, ওকস ১৩, প্লাঙ্কেট ৯*, আর্চার ৭*; তাহির ২/৬১, এনগিডি ৩/৬৬, রাবাদা ২/৬৬, প্রেটোরিয়াস ০/৪২, ফেলুকওয়ায়ো ১/৪৪, ডুমিনি ০/১৪, মার্করাম ০/১৬)।
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৩৯.৫ ওভারে ২১১ (ডি কক ৬৮, আমলা ১৩, মার্করাম ১১, দু প্লেসি ৫, দুসেন ৫০, ডুমিনি ৮, প্রেটোরিয়াস ১, ফেলুকওয়ায়ো ২৪, রাবাদা ১১, এনগিডি ৬*, তাহির ০; ওকস ০/২৪, আর্চার ৩/২৭, রশিদ ১/৩৫, মইন ১/৬৩, প্লাঙ্কেট ২/৩৭, স্টোকস ২/১২)।
ফলাফল: ইংল্যান্ড ১০৪ রানে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: বেন স্টোকস।
Comments