বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস আজ

‘২০ বছরের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ’

অন্যান্য দেশের মতো আজ (৩১ মে) বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। দিবসটি সামনে রেখে আগামী ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন।
No tobacco day

অন্যান্য দেশের মতো আজ (৩১ মে) বাংলাদেশে পালিত হচ্ছে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস। দিবসটি সামনে রেখে আগামী ২০ বছরের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করার প্রত্যাশা পুনর্ব্যক্ত করেন।

‘তামাক ও ফুসফুসের স্বাস্থ্য’ প্রতিপাদ্য নিয়ে এবারের দিবসটি তামাক সেবনের স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি এবং এর ব্যবহার কমাতে কার্যকর নীতিমালা প্রণয়নের বিষয়টি তুলে ধরা হচ্ছে।

বার্তা সংস্থা ইউএনবির এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দিবসটির লক্ষ্য হলো ফুসফুসের স্বাস্থ্যের (ক্যান্সার ও দীর্ঘস্থায়ী শ্বাসযন্ত্রের রোগ) ওপর তামাকের প্রভাব সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টি করা।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, ফুসফুস ও শ্বাসতন্ত্র সংক্রান্ত জটিলতা মৃত্যুর প্রথম পাঁচটি কারণের মধ্যে দুটি।

তামাক ব্যবহার এবং পরোক্ষ ধূমপানের ফলে ফুসফুসে ক্যান্সার, ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিস (সিওপিডি), যক্ষ্মা ও অ্যাজমা হয় বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।

সংস্থাটি আরও জানায়, তামাক ব্যবহারের ফলে প্রতি বছর ৮০ লাখেরও বেশি মানুষ মারা যায়। সেই সঙ্গে পরোক্ষ ধূমপানে মৃত্যু হয় আরও ১০ লাখ মানুষের, যাদের বড় একটি অংশ শিশু।

বাংলাদেশে অকালে মারা যাওয়ার পঞ্চম বড় কারণ তামাক। যার প্রভাবে প্রতি বছর মারা যায় ১ লাখ ২৬ হাজার মানুষ।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও তাদের অংশীদাররা ১৯৮৭ সালে থেকে বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস পালন করে আসছে।

২০ বছরের মধ্যে তামাকমুক্ত বাংলাদেশ

বার্তা সংস্থা বাসস জানায়, বিশ্ব তামাকমুক্ত দিবস উপলক্ষে এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, সবার সম্মলিত চেষ্টায় ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে তামাকমুক্ত করা হবে।

তিনি বলেন, “ইতোপূর্বে, আমি ২০৪০ সালের মধ্যে দেশকে তামাকমুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছি। এ লক্ষ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। আইনের যথাযথ প্রয়োগ ও তামাকজাত দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির মাধ্যমে তামাকের ব্যবহার ক্রমশ কমিয়ে আনা সম্ভব।”

Comments