পাটুরিয়া ঘাটে ঘরমুখো মানুষের চাপ, দুর্ভোগ চরমে
পাটুরিয়া ঘাটে ঈদে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহনের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে। ছোট ও বড় গাড়ীর জন্য দুটি আলাদা লাইন করা হয়েছে।
আজ (৩১ মে) বেলা তিনটার দিকে পাটুরিয়া ঘাটে ছোট গাড়ী অপেক্ষমাণ থাকতে দেখা গেছে তিন শতাধিক এবং ট্রাক ও বড় বাসের সংখ্যাও শতাধিক। তিন ঘণ্টারও বেশী সময় ঘাটে আটকে থাকতে হচ্ছে বলে জানিয়েছেন যাত্রী ও যানবাহনের চালকরা। এতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েছেন বলেও জানান তারা।
একটি মিডিয়া হাউজের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান নাঈম বলেন, পরিবার নিয়ে তিনি একটি প্রাইভেট কারযোগে তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ায় যাচ্ছেন। ঢাকা থেকে সকাল নয়টায় রওনা দিয়েছেন এবং পাটুরিয়া ঘাটে এসেছেন সকাল ১১টার দিকে। বেলা তিনটা পর্যন্ত তিনি পাটুরিয়া ফেরি টার্মিনালের পাঁচ নম্বর ঘাটে অপেক্ষা করছেন। ফেরিতে চড়তে আরও কমপক্ষে আধা ঘণ্টা লাগতে পারে। দীর্ঘ সময় ঘাটে আটকে থাকার কারণে তার তিন বছরের ছেলে গরমে অতিষ্ঠ। তাই তিনি গাড়ী থেকে নেমে সন্তানকে ঘাড়ে নিয়ে ঘুরছেন।
ঝিনাইদহ জেলার মহেশপুরের মো. গোলাম মোস্তফা দীর্ঘদিন ধরে মালয়েশিয়ায় থাকেন। তিনি আজ সকাল ৯টায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেমেছেন। সেখান থেকে একটি মাইক্রোবাস নিয়ে রওনা হন। সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পাটুরিয়া ঘাট এলাকায় এসে আটকা পড়েছেন। বেলা তিনটার দিকে তার গাড়ী রয়েছে টিকিট কাউন্টার থেকে এক কিলোমিটার দূরে। কখন টিকিট নিয়ে ফেরিতে উঠতে পারবেন তা বলতে পারছেন না বলে জানান।
ঢাকার উত্তরার বাসিন্দা ইয়াসমিন আক্তার কলি জানান, পরিজন নিয়ে বাবা-মায়ের সঙ্গে ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি ফরিদপুরে যাচ্ছেন। সকাল ৯টায় রওনা দিয়ে সকাল ১১টায় তিনি পাটুরিয়া ঘাটে এসে আটকা পড়েছেন। বেলা তিনটার সময়ও তিনি গাড়ী নিয়ে ফেরিতে উঠতে পারেননি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিসি) পাটুরিয়া ঘাট শাখার ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) খোন্দকার মুহাম্মদ তানভীর হোসেন জানান, এই নৌরুটে ছোট বড় ১৮টি ফেরি চলাচল করছে। আগামীকাল মধ্যে প্রহরে আরও দুটি ফেরি যুক্ত হবে। বর্তমানে ঘাটে অপেক্ষমাণ যানবাহনের সংখ্যা একটু বেশি হলেও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন:
Comments