তিন পেসার, তিন স্পিনার নিয়ে বাংলাদেশের একাদশ

ওভালে প্রথম ম্যাচে টস জিতে ইমরান তাহিরের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন ফাফ ডু প্লেসি। তাহিরও শুরুটা করেন দুর্দান্ত। পরে ইংল্যান্ডের স্পিনাররাও সময়মতো ব্রেক থ্রো আনতে পেরেছেন। আদিল রশিদ, মঈন আলিদের বল বেশ ভালোই প্রভাব ফেলেছে পুরো ম্যাচে। সেই একই উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নামার আগে একাদশে স্পিনার বাড়ানোর কথা ভাবছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা।
Mashrafe Mortaza
ছবি: বিসিবি

ওভালে প্রথম ম্যাচে টস জিতে ইমরান তাহিরের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন ফাফ ডু প্লেসি। তাহিরও শুরুটা করেন দুর্দান্ত। পরে ইংল্যান্ডের স্পিনাররাও সময়মতো ব্রেক থ্রু আনতে পেরেছেন। আদিল রশিদ, মইন আলিদের বল বেশ ভালোই প্রভাব ফেলেছে পুরো ম্যাচে। সেই একই উইকেটে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে একাদশে বাড়তি স্পিনার রাখতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

রবিবার (২ জুন) ওভালে বিশ্বকাপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে নামছে বাংলাদেশ। এই মাঠে হওয়া  আগের ম্যাচের হিসাব তাই চলে এসেছে অবধারিতভাবে। স্পিনারদের বল গ্রিপ করেছে বেশ। এই কারণে একাদশ তৈরি করার ভাবনাতেও আছে স্পিনার বাড়ানোর চিন্তা। কিন্তু স্পিনার বাড়াতে গিয়ে পেসার ছাঁটলেও যে চলছে না। দরকার তাই অলরাউন্ডারের। সেক্ষেত্রে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ দিতে পারতেন সমাধান। কিন্তু তিনি বোলিং করতে না পারার কারণে জোর বিবেচনায় এসে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন সৈকত। সব কিছু ঠিক থাকলে একাদশে থাকবেন তিনিই। সেক্ষেত্রে ছিটকে যাবেন সাব্বির রহমান। 

উইকেটের হাবভাব দেখেই যে এমন চিন্তা তা আগের দিন স্পষ্ট করেছেন মাশরাফি, এমন উইকেট থাকলে নিজেদের জন্য সুবিধার কথাও আড়াল করলেন না তিনি, ‘গত ম্যাচে ওভালে যেটা দেখছি বল কিছুটা গ্রিপ করছিল। যদি এমন হয় তাহলে আমাদের জন্য ভালো। যদি বল গ্রিপ করে আমাদের পেসাররাও ম্যাচে (অবদান রাখতে) থাকবে। সেই সঙ্গে স্পিনাররাও থাকবে। এটা আমাদের জন্য ইতিবাচক।’

উইকেট এমন হলে সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজের সঙ্গে আরেকজন স্পিনার লাগছেই। মাহমুদউল্লাহ বোলিং করার জন্য ফিট থাকলে কথা ছিল না। তিনি ফিট না থাকাতেই দলের একাদশের চিন্তাতেও এসেছে বদল, ‘মাহমুদউল্লাহ অনুশীলনে বোলিং করেছিল একদিন, পরে আর পারেনি। বোলিং করলে ওর প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে।  সেক্ষেত্রে অতিরিক্ত স্পিনার নেওয়ার কথা আমরা ভাবছি। এই মুহূর্তে পরিষ্কার করা কঠিন তবে আমরা ভাবছি। যদি ভাবতে চাই তাহলে সাত নম্বর পজিশনে ব্যাটিং প্লাস অফ স্পিনারের কথাই ভাবতে হয়। বাঁহাতি স্পিনার তো নাই। তাই অফ স্পিনিং অলরাউন্ডারের কথা ভাবছি।’

মিরাজ, মাহমুদউল্লাহ ছাড়া অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার স্কোয়াডে আর আছেন একজনই। সেই মোসাদ্দেক হোসেন আয়ারল্যান্ডে ত্রিদেশীয় কাপের ফাইনালে ঝড় তুলে দলকে চ্যাম্পিয়ন বানিয়ে দেখিয়েছেন সাত নম্বরে নিজের অন্য সামর্থ্যও। এখানে অধিনায়কের কাজটাও হয়েছে সহজ।

জানা গেছে, মোসাদ্দেক একাদশে আসায় বাইরে যেতে হচ্ছে সাব্বিরকে। সাতে নেমে ঝড় তোলা আর বোলিং দিয়ে অবদান রাখা দুটিতেই আপাতত সাব্বির পিছিয়ে আছেন।

আয়ারল্যান্ডে সর্বশেষ খেলা ফাইনাল ম্যাচটার কথা হিসেবে নিলে একাদশে বদল থাকছে আরেকটি। সেটা অবশ্য অনুমিতই। চোট কাটিয়ে সাকিব আল হাসান ফিরছেন। তিনি তিন নম্বরেই নামবেন।

অনুশীলনে চোট পেলেও চিড় না থাকায় তামিম ইকবাল খেলছেন নিশ্চিতভাবেই। তার সঙ্গী হিসেবে নামবেন সৌম্য সরকার। চার, পাঁচ আর ছয়ে যথাক্রমে মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন ও মাহমুদউল্লাহর জায়গা পাকাপোক্ত। সাতে মোসাদ্দেক আসায় ব্যাটিং লাইনআপ বাংলাদেশের বেশ লম্বা। মেহেদী হাসান মিরাজ থাকছেন আটে।

বাকি থাকে তিন পেসার। অধিনায়ক মাশরাফির সঙ্গে মোস্তাফিজুর রহমান অনেকটা অটো চয়েস। তবে রুবেল হোসেন নাকি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন, কে খেলছেন আগের দিন (১ জুন) পর্যন্ত নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশকে দেখা গেছে দুজনকে নিয়েই বেশ খাটছেন। তিনিই জানিয়েছেন, যদি সাইফুদ্দিনের ফিটনেসে কোন সমস্যা না হয় তাহলে রুবেলের থেকে এগিয়ে থাকবেন তিনি।

বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ: তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, মোহাম্মদ মিঠুন, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদী হাসান মিরাজ, মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন/রুবেল হোসেন, মাশরাফি বিন মর্তুজা ও মোস্তাফিজুর রহমান।

Comments