সেদিন উইকেট দেখেই আশা জেগেছিল, আবার উইকেটই ভয় দেখাচ্ছে

ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী ম্যাচটা মাঠে বসেই দেখেছিলেন বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস। প্রতিটা বল মন দিয়ে দেখে, পাশে আর কোন উইকেট প্রস্তুত না দেখে সেদিনই তার মনে খেলে গিয়েছিল আনন্দের রেনু। পরদিন অনুশীলনে এসেও যখন নিশ্চিত হলেন, ওই উইকেটেই খেলা পড়ছে, তখনই টের পেয়ে গিয়েছিলেন ভালো কিছু হতে চলেছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নামার আগের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এবার সেই উইকেটই মনে কাঁপন ধরিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের।
steve rhodes
ছবি: বিসিবি

ইংল্যান্ড-দক্ষিণ আফ্রিকার উদ্বোধনী ম্যাচটা মাঠে বসেই দেখেছিলেন বাংলাদেশের কোচ স্টিভ রোডস। প্রতিটা বল মন দিয়ে দেখে, পাশে আর কোনো উইকেট প্রস্তুত না দেখে সেদিনই তার মনে খেলে গিয়েছিল আনন্দের রেণু। পরদিন অনুশীলনে এসেও যখন নিশ্চিত হলেন, ওই উইকেটেই খেলা পড়ছে, তখনই টের পেয়ে গিয়েছিলেন ভালো কিছু হতে চলেছে। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নামার আগের দিন সন্ধ্যা পর্যন্ত এবার সেই উইকেটই মনে  কাঁপন ধরিয়ে রেখেছে বাংলাদেশের।

সাধারণত উইকেট একটু মন্থর থাকলে, স্পিন গ্রিপ করলে নিজেদের সেরা খেলাটা দেখাতে পারে বাংলাদেশ। কিন্তু ইংল্যান্ডের চিরায়ত গতি, বাউন্স আর সুইংবান্ধব বাইশ গজ হলে অস্বস্তিতে পড়তে হয়।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে যে উইকেটে খেলা হয়েছিল এবার আর তা হচ্ছে না। নিউজিল্যান্ড-বাংলাদেশ ম্যাচ গড়াবে নতুন উইকেটে। আগের দিন পর্যন্ত সেই উইকেটে দেখা গেছে প্রচুর ঘাস। যা জিভে জল এনে দিতে পারে ট্রেন্ট বোল্ট, ম্যাট হেনরিদের।

সৌম্য সরকার মাঠে যাওয়ার আগেই জেনে গিয়েছিলেন উইকেট বদলের খবর। বোল্টদের গোলা শুরুতে সামলাতে হবে তাকেও। মানসিক প্রস্তুতি তিনি নিয়ে রেখেছেন সেভাবেই, ‘দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আমরা যে উইকেটে খেলেছি, এবার অন্য উইকেটে হবে। ওদের বোলারদের গতির সঙ্গে সুইংও থাকবে। দুটিই সামলে কিভাবে এগোনো যায়, সেই পরিকল্পনা নিয়ে খেলতে হবে। সুইং, পেস মাথায় রেখেই পরিকল্পনা করতে হবে। উইকেট ব্যাটিংয়ের জন্য ভালো হলে বল বুঝে মারতে হবে, সুইং থাকলে শুরুতে সতর্ক থাকতে হবে।’

উইকেটের ধরনের কারণেই আগে ব্যাট করলে প্রথম ১০ ওভার চুপচাপে কাটিয়ে দিতে চায় বাংলাদেশ। হাতে উইকেট রেখে থিতু হয়ে তারপর হতে চায় আগ্রাসী। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কিউই পেসাররা শুরুর ১০ ওভারেই সব তছনছ করে দিয়েছিল। সৌম্য জানালেন তারাও পরিকল্পনা আঁটছেন শুরুটা নিয়েই, ‘প্রথম ১০ ওভারে যদি কোনো উইকেট না হারিয়ে কিছু রান করে ফেলতে পারি, আমাদের জন্য খুব ভালো হবে। ওদের মূল অস্ত্র সুইং। প্রথম ১০ ওভারে ওরা দ্রুত উইকেট নিচ্ছে। ওটা করতে দিতে না পারলে আমাদের জন্য ভালো হবে।’

খেলায় কি হবে পরের ব্যাপার। নিজেদের প্রস্তুত জানিয়ে বাংলাদেশ কোচ কিউইদের শক্তি-সামর্থ্যের গুণগান গেয়ে ওদের বিপক্ষে সেরা একটা দিনের প্রত্যাশা করলেন, ‘তাদের শক্তি সবাই দেখেছেন। তাদের দুর্বলতা কি বের করেছি। সে নিয়ে বিস্তারিত বলতে চাই না। তারা উইকেট টেকিং বোলিং ইউনিট। নতুন বলে ট্রেন্ট বোল্ট দুর্দান্ত। ওর বিপক্ষে আমাদের একটা ভালো দিন কাটাতে হবে। আমি মনে করি সে সামর্থ্য আমাদের আছে।’

‘তাদের অনেকেই মাঝের ওভারে উইকেট এনে দেয়। ফিল্ডিং তাদের অসাধারণ। অনেকটা নির্ভার হয়ে খেলে তারা। ব্যাটিংয়ে কেন উইলিয়ামসন কী করতে পারে সবাই জানেন। আমরাও এসব জেনে প্রস্তুতি নিয়েছি।'

Comments

The Daily Star  | English

DMCH doctors threaten strike after assault on colleague

A doctor at Dhaka Medical College Hospital (DMCH) was allegedly assaulted yesterday after the death of a private university student there, with some of his peers accusing the physicians of neglecting their duty in his treatment

5h ago