ডি ভিলিয়ার্সের বিশ্বকাপে ফেরার প্রস্তাব আমলেও নেয়নি দ. আফ্রিকা!

দক্ষিণ আফ্রিকা টানা তিন ম্যাচ হারার পর ভক্তদের আহ-উহ করাটা অনুমিতই ছিল। এবি ডি ভিলিয়ার্স যদি স্কোয়াডে থাকতেন! এরই মধ্যে দেশটির অনেক ক্রিকেটপ্রেমী জরুরি ভিত্তিতে তাকে দলে ফেরানোর জন্য বোর্ডের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্য, প্রোটিয়া সমর্থকদের আক্ষেপে হয়তো পুড়তে হতো না। এবারের বিশ্বকাপেই ডি ভিলিয়ার্সকে মাঠ মাতাতে দেখা যেতে পারতো! যদি তার জাতীয় দলে ফেরার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা না হতো!
ab de villiers
ছবি: এএফপি

দক্ষিণ আফ্রিকা টানা তিন ম্যাচ হারার পর ভক্তদের আহ-উহ করাটা অনুমিতই ছিল। এবি ডি ভিলিয়ার্স যদি স্কোয়াডে থাকতেন! এরই মধ্যে দেশটির অনেক ক্রিকেটপ্রেমী জরুরি ভিত্তিতে তাকে দলে ফেরানোর জন্য বোর্ডের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন। তবে বিস্ময়কর হলেও সত্য, প্রোটিয়া সমর্থকদের আক্ষেপে হয়তো পুড়তে হতো না। এবারের বিশ্বকাপেই ডি ভিলিয়ার্সকে মাঠ মাতাতে দেখা যেতে পারতো! যদি তার জাতীয় দলে ফেরার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করা না হতো!

বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জনপ্রিয় ক্রিকেট বিষয়ক ওয়েবসাইট ক্রিকইনফো জানিয়েছে এই চোখ কপালে তোলার মতো তথ্য। গেল মাসে দক্ষিণ আফ্রিকার চূড়ান্ত বিশ্বকাপ স্কোয়াড ঘোষণার আগমুহূর্তে অবসর ভেঙে আবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরতে চেয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। বর্তমান প্রোটিয়া দলনেতা ফাফ দু প্লেসি, কোচ ওটিস গিবসন ও নির্বাচক কমিটির আহ্বায়ক লিন্ডা জোন্ডির কাছে নিজের ইচ্ছার কথা জানিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দলের বাকিদের প্রতি অবিচার করা হবে ভেবে ডি ভিলিয়ার্সের প্রস্তাবে রাজি হওয়া তো দূরে থাকা, আমলেই নেননি তারা!

মূলত দুটি কারণে ডি ভিলিয়ার্সের প্রস্তাব বিবেচনা করা হয়নি। প্রথমত, ২০১৮ সালের ২৮ মে অবসরের ঘোষণা দিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স। এর ঠিক এক বছর পর মাঠে গড়িয়েছে বিশ্বকাপ। দলে জায়গা পেতে হলে, এই সময়ের মধ্যে দক্ষিণ আফ্রিকা জাতীয় দলে কিংবা দেশটির ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলতে হতো তাকে। কিন্তু বিভিন্ন দেশে ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্ট খেলে বেড়ানো ডি ভিলিয়ার্স কোনোটাতেই অংশ নেননি। দ্বিতীয়ত, তিনি জায়গা পেলে বাদ পড়তে হতো অন্য কাউকে। কিন্তু ডি ভিলিয়ার্সের অবসরের পর থেকে গেল এক বছর ধরে যারা খেলছেন কিংবা নিয়মিত পারফর্ম করছেন, তাদের কাউকে বঞ্চিত করতে চায়নি প্রোটিয়া টিম ম্যানেজমেন্ট।

ডি ভিলিয়ার্স অবশ্য এই বিষয় নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তিনি জানিয়েছেন, এই মুহূর্তে দক্ষিণ আফ্রিকা দলকে সমর্থন দেওয়াতেই 'পুরোপুরি মনোযোগ' রাখছেন তিনি।

ইংল্যান্ড বিশ্বকাপটা এখন পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জন্য দুঃস্বপ্নের। নিজেদের ইতিহাসে প্রথমাবারের মতো আসরের প্রথম তিনটি ম্যাচে টানা হেরেছে তারা। এর মধ্যে দলের পেস আক্রমণের নেতা ডেল স্টেইনও চোটের কারণে কোনো ম্যাচ না খেলেই ছিটকে গেছেন। সেমিফাইনালে খেলতে হলে পরের ছয়টি ম্যাচেই টানা জেতার দরকার পড়তে হতে পারে তাদের।

Comments

The Daily Star  | English
economic challenges for interim government

The steep economic challenges that the interim government faces

It is crucial for the interim government to focus on setting a strong foundation for future changes.

6h ago