ধর্ষণের পর গাড়ির নাম পরিবর্তন, ‘স্বর্ণলতা পরিবহন’ হচ্ছে ‘কটিয়াদী এক্সপ্রেস’
গাড়ীতে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগে বন্ধ হয়ে যাওয়া স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসগুলোর রং পরিবর্তন করে কটিয়াদী এক্সপ্রেস নাম দেওয়া হচ্ছে।
গাজীপুরের কাপাসিয়ার তরগাঁও এলাকার রূপনগর পালকি কমিউনিটি সেন্টারের পাশের একটি গ্যারেজে গত দুই সপ্তাহ ধরে গাড়ির রং পাল্টানোর কাজ চলছে।
৬ মে সোমবার রাত ১০টার দিকে কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কে গজারিয়া বিলপাড় এলাকায় স্বর্ণলতা পরিবহনের একটি বাসে একজন নার্সকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনা ঘটে। এর পর থেকেই স্বর্ণলতা পরিবহনের গাড়ি চলাচলে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার।
নিহত শাহিনুর আক্তার তানিয়া (২৩) কিশোরগঞ্জ জেলার কটিয়াদী উপজেলার লোহাজুরী ইউনিয়নের বাহেরচর গ্রামের গিয়াস উদ্দিনের মেয়ে। তিনি ঢাকায় ইবনে সিনা হাসপাতালে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
এ ঘটনায় স্বর্ণলতা বাসের চালক কাপাসিয়ার নূরুজ্জামান (৩৯) ও হেলপার লালন মিয়াকে (৩৩) পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠিয়েছে।
কাপাসিয়ার তরগাঁও এলাকার লোকজন জানিয়েছেন গত প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে স্বর্ণলতা পরিবহনের বাসগুলোর রং পাল্টানোর কাজ চলছে। গাড়িগুলোতে কটিয়াদী এক্সপ্রেস নাম লেখা হচ্ছে।
গ্যারেজ মালিক আব্দুল কাইয়ুম জানান, প্রায় ১০ দিন আগে স্বর্ণলতা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. পাভেল তাকে গাড়ির রং ও নাম পাল্টানোর কাজ দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে স্বর্ণলতা পরিবহনের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. পাভেল বলেন, গাড়ীতে ধর্ষণের ঘটনার পর সরকার আমাদের বাস রাস্তায় নামানো বন্ধ করে দিয়েছেন। আমরা কটিয়াদী পরিবহনের সঙ্গে কথা বলে গাড়িগুলো রাস্তায় নামাতে চেয়েছিলাম। কিন্তু কটিয়াদী পরিবহন কর্তৃপক্ষ রাজী না হওয়ায় গাড়িগুলো অলস ফেলে রেখেছি। কিশোরগঞ্জ-ভৈরব সড়কে স্বর্ণলতা পরিবহন নামে আমাদের মোট ২০টি গাড়ি ছিল।
Comments