কাতারে পাইলট ফজল মাহমুদকে ‘আটক’ করা হয়নি: বিমান

biman bangladesh
ছবি: সংগৃহীত

পাসপোর্ট ছাড়া কাতারে গেলেও পাইলট ফজল মাহমুদকে দোহার হামাদ ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে আটক বা গ্রেপ্তার করা হয়নি বলে দাবি করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। রাষ্ট্রায়ত্ত বিমান সংস্থাটি আজ এক বিবৃতি দিয়ে একথা বলেছে।

বিমানের জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক শাকিল মেরাজ স্বাক্ষরিত আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে বলা হয়, “কিছু সংবাদ মাধ্যমে দোহা ইমিগ্রেশন পুলিশের হাতে বিমানের পাইলট আটক বা গ্রেপ্তার হয়েছেন বলে খবরে উল্লেখ করা হয়েছে যা মোটেও সঠিক নয়। প্রকৃতপক্ষে সেখানে কোন বিমান পাইলট আটক, গ্রেপ্তার বা আটকে দেবার ঘটনা ঘটেনি।”

তবে ঘটনার পর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে হয়েছে, পাইলট ফজল মাহমুদ পাসপোর্টবিহীন অবস্থায় থাকায় কাতারের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের হাতে আটক হয়েছিলেন। এ ঘটনায় ঢাকায় শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে অবহেলার বিষয়টি খতিয়ে দেখতে আজ চার সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। জরুরি ভিত্তিতে আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে কমিটি তার প্রতিবেদন দিবে।

তবে বিমান কর্তৃপক্ষের দাবি, ঘটনাটি ভুলভাবে গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ায় জনমনে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।

ঘটনার ব্যাখ্যায় তারা বলেছে, দোহায় অবতরণ করার পর ক্যাপ্টেন ফজল মাহমুদ লক্ষ্য করেন যে, তার পাসপোর্টটি সঙ্গে নেই। এ অবস্থায় তিনি ইমিগ্রেশনে না গিয়ে দোহা এয়ারপোর্টে বিমান স্টেশন ম্যানেজার ও ঢাকা অফিসের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং ট্রানজিট হোটেল অরিক্স-এ চলে যান। পরদিন ৬ জুন সন্ধ্যায় তার পাসপোর্ট দোহায় প্রেরণ করা হয় এবং তিনি স্বাভাবিক নিয়মে কোনো জটিলতা ছাড়াই ইমিগ্রেশন সম্পন্ন করে দোহা শহরে বিমান ক্রুদের নির্ধারিত হোটেল ক্রাউন প্লাজায় চলে যান। বর্তমানে তিনি ওই হোটেলেই অবস্থান করছেন। বিমান কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আগামী ১০ জুন ভোরে দোহা থেকে বিজি১২৬ ফ্লাইট অপারেট করে ঢাকা ফিরবেন।

Comments

The Daily Star  | English

Seven killed in Mymensingh road crash

At least seven people were killed and several others injured in a head-on collision between a bus and a human haulier in Mymensingh’s Phulpur upazila last night

1d ago